ঘন নিশি কৌশিকী

দেবী কৌশিকী মহামায়ারই আরেক রূপ। মহামায়ার ত্বক বা আবরণ থেকে দেবী কৌশিকীর সৃষ্টি হয়েছিল। আগামী সোমবার কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki Amavasya)। কে এই দেবী কৌশিকী? কী তাঁর পরিচয়? দেবীর পৌরাণিক কাহিনি ও মন্দিরের মন্দিরে তাঁর আরাধনা নিয়ে লিখলেন তনুশ্রী কাঞ্জিলাল মাশ্চরক

Must read

‘মহামায়ে জগন্মাতঃ
কালিকে ঘোর দক্ষিণে
ইহানং বন্দনে দেবী
নমস্তে শঙ্করপ্রিয়ে’
কে দেবী কৌশিকী
হিন্দু ধর্মে দেবদেবীর সংখ্যা অগণিত। প্রায় তেত্রিশ কোটি দেবদেবীর উল্লেখ রয়েছে। অন্যান্য দেবদেবীর মধ্যে আজ আমরা দেবী কৌশিকীকে নিয়ে আলোচনা করব। দেবী কৌশিকী মহামায়ারই আরেক রূপ। কখনও মহাসরস্বতী বা চণ্ডিকা নামেও তিনি পরিচিত। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই হিন্দু দেবী মহামায়া রূপ হলেও তিনি অযোনিসম্ভূতা শক্তির আধার। কৌশিকী শব্দের অভিধানগত অর্থ হল— আদ্যাশক্তির বিশেষ রূপ।
সনাতন ধর্মে কৌশিকী আমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। দেবী মাহাত্মমে উল্লেখ আছে, মহাদেবী মহামায়ার ত্বক বা আবরণ থেকে ঘন নিশি কৌশিকীর রূপ ধারণ করেছিলেন।
অন্ধকারের দেবীর শরীরে সৃষ্টি হয় আদ্যাশক্তি, রূপ নেন কৌশিকী রূপ।

আরও পড়ুন-ঋতুরঙ্গে নারী

শ্রীশ্রীচণ্ডীতে মহাসরস্বতী দেবীর কাহিনিতে বলা আছে, যে একবার শুম্ভ-নিশুম্ভ কঠোর সাধনা করে ব্রহ্মাকে খুশি করে। সন্তুষ্ট ব্রহ্মা তখন বর দিয়েছিলেন কোনও পুরুষ তাদের হত্যা করতে পারবে না।
একজন অযোনিসম্ভূতা মহিলাই তাদের হত্যা করতে পারে। অর্থাৎ যে নারী মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নেয়নি সেই নারীর হাতে মৃত্যু হবে এই দুই দুষ্ট রাক্ষসের।
পৃথিবীতে এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ব্রহ্মার বর পেয়ে নিজেদের একপ্রকার অমর ভেবে স্বর্গ-মর্ত্য জুড়ে অত্যাচার শুরু করে দুই রাক্ষস। উপায়ন্তর না দেখে তখন দেবতারা শিবের সামনে হাজির হলেন। পার্বতী দক্ষযজ্ঞের সময় সতীরূপে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। যার জন্য পরবর্তী জীবনে তাঁর রং ঘন কালো মেঘের মতো হয়ে গেছিল। ভোলা মহেশ্বর ভালবেসে তাঁকে কালিকা বলে ডাকতেন।
মহাদেব সমস্ত দেবতাদের সামনে পার্বতীকে বললেন— ‘কালিকা তুমি এদের রক্ষা করো।’ পার্বতীকে সকলের সামনে কালী বলে ডাকায় তিনি খুব অপমানিত বোধ করেন। অত্যন্ত রেগে গিয়ে তিনি ধ্যানে বসেন। মানস সরোবরের তীরে তিনি কঠিন তপস্যা করেন।
এরপর মানস সরোবরের শীতল জলে স্নান করে শরীরের সমস্ত কালিমা ত্যাগ করে পূর্ণিমার রং ধারণ করেন। ঘন কালো মেঘের মতো আবরণ ও দেহকোষ যখন মানস সরোবরে উদ্ভূত হয় তখন দেবীর সৌন্দর্য আলোকময় হয়ে ওঠে। সেই কালো কোষ থেকে এক অপরূপ সুন্দরী কৃষ্ণবর্ণ দেবীর জন্ম হল। ইনিই দেবী কৌশিকী।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীতন্ত্রে জানা যায়, ইন্দ্রকে দেবী লক্ষ্মী জানিয়েছিলেন তিনি হলেন সেই শক্তি যিনি গৌরী থেকে কৌশিকী রূপ ধারণ করেছেন। তিনি মহাপরাক্রমশালী অসুর ভ্রাতৃদ্বয়কে বধ করেছিলেন কৌশিকী অমাবস্যাতেই। স্কন্দপুরাণে দেবী কৌশিকীর বর্ণনা রয়েছে। দেবীর চার হাত, গলায় নরমুণ্ড, দেহে ব্যাঘ্রচর্ম পরিহিতা।

আরও পড়ুন-প্রতিবাদ হোক সর্বত্র, বাংলার ভাবমূর্তি নষ্টে রিলিজ ছবি

কৌশিকী অমাবস্যার গুরুত্ব
সনাতন ধর্মে কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শাক্তদের কাছে কালী অত্যন্ত অপরিহার্য ও কাছের আরাধ্যা দেবী। এই দেবীর নানা রূপ রয়েছে।
‘তুমি সন্ধ্যা তুমি গায়ত্রী তুমি জগদ্ধাত্রী গো মা
অকুলের ত্রাণকর্তী, সদাশিবের মনোহরা।।’
কালীর প্রতিটি রূপকেই বিশেষভাবে আরাধনা করেন ভক্তরা। ভাদ্র মাসের প্রথম অমাবস্যাই হল কৌশিকী অমাবস্যা।
‘মা ত্বং হি তারা
তারা, তারা ত্রিগুণহরা
মা ত্বং হি তারা’
এই শুভ তিথিকে তারানিশিও বলা হয়। এই রাতে এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক উভয়েরই দরজা খুলে যায় বলে বিশ্বাস। কঠিন সাধনার ফলে এক বিশেষ মুহূর্তে সাধক শুভ বা অশুভ শক্তির অধিকারী হতে পারেন। অমাবস্যার আঁধার রাতে সাধনার ফলে সাধকের কূলকুণ্ডলিনী জাগ্রত করা যায়। সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করা হয়, কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ তিথিতে তারাপীঠের উত্তর বাহিনী দ্বারকা নদে ডুব দিলে বা স্নান করলে মোক্ষলাভ সম্ভব হয়। শত জন্মের পাপ বিনাশ হয়। এমনকী কুম্ভমেলার সিদ্ধিলাভের সমান পুণ্য পাওয়া যায় এমনও বিশ্বাস করা হয়। শুধু হিন্দু ধর্মেই নয়, বৌদ্ধ ধর্মে ও কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
মহামায়ার কৃপাধন্য
‘দীন দয়াময়ী তুমি দুর্গমেতে দুঃখহরা’
এই দিনে মহামায়ার আরাধনা করলে দেবীর অশেষ কৃপা লাভ করা যায় বলেই প্রচলিত বিশ্বাস।
দেবীর উৎপত্তি তিথি কৌশিকী অমাবস্যা। তন্ত্রমতে সিদ্ধ এই অমাবস্যার সঙ্গে বিশেষ যোগ রয়েছে স্বয়ং মা তারার।
অমানিশার রাত্রি মানেই তন্ত্রমতে মা কালীর আরাধনার পুণ্য লগ্ন।
‘মা ত্বং হি তারা
তুমি ত্রিগুণধারা
পরাৎপরা’।
শাস্ত্র মতে, অমাবস্যার মাহাত্ম্য বিস্তর। প্রতি মাসের অমাবস্যা তিথির রয়েছে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য। ভাদ্র মাসের অমাবস্যার গুরুত্ব আর পাঁচটা অমাবস্যার থেকে আলাদা। কৌশিকী অমাবস্যাকে জ্যোতির্বিদ্যাতেও চন্দ্রকলার প্রথম ধাপ বলে মনে করা হয়। ভাদ্র মাসের এই তিথিতেই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছিলেন দেবী তারা। তন্ত্র মতে এই রাত্রিকে তারানিশি বা তারারাত্রিও বলেন অনেকে। গুপ্ত ও কঠিন সাধনা করার জন্য এই দিনটিকে বিশেষভাবে উপযুক্ত মনে করেন তন্ত্রসাধকেরা। মাতৃপীঠ তারাপীঠে এই দিনে দেবী তারা আবির্ভূতা হন বলে বিশ্বাস ভক্তদের।
তারাপীঠের মা কৌশিকীর
‘তুমি জলে তুমি স্থলে তুমি আদ্যমূলে গো মা
আছ সর্বঘটে অর্ঘপুটে, সাকার আকার নিরাকারা’
দশমহাবিদ্যার অন্যতম মহাবিদ্যা শক্তি হল আদ্যাশক্তি। সেই আদ্যাশক্তির আরাধনা করেন যাঁরা তাঁদের কাছে কৌশিকী অমাবস্যার গুরুত্ব অসীম। এই তিথিতেই সাধক বামাখ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেন। তাই তারাপীঠকে সিদ্ধপীঠ বলা হয়। তারাপীঠ শ্মশানের শ্বেত শিমুলতলায় সাধনা করতেন তিনি। বিশ্বাস করা হয় এখানে সাধনা করলে সাধক জ্ঞান আনন্দ ও সিদ্ধি লাভ করেন।
কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ দিনে তারাপীঠে নামে ভক্তের ঢল। এই দিনে তারামায়ের বিশেষ পুজো হয়। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীতে তারা মায়ের মন্দির ভরে ওঠে। গুপ্ত ও কঠিন সাধনা করার জন্য এই দিনটিকে বিশেষভাবে উপযুক্ত মনে করেন তন্ত্রসাধকেরা। মাতৃপীঠ তারাপীঠে এই দিনে দেবী তারা আবির্ভূতা হন বলে বিশ্বাস ভক্তদের।
দশমহাবিদ্যার অন্যতম মহাবিদ্যা শক্তি হল আদ্যাশক্তি। সেই আদ্যাশক্তির আরাধনা করেন যাঁরা তাঁদের কাছে কৌশিকী অমাবস্যার গুরুত্ব অসীম।
এই তিথিতেই সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধলাভ করেন। তাই তারাপীঠকে সিদ্ধপীঠ বলা হয়। তারাপীঠ শ্মশানের শ্বেতশিমুলতলায় সাধনা করতেন তিনি। বিশ্বাস করা হয় এখানে সাধনা করলে সাধক জ্ঞান আনন্দ ও সিদ্ধিলাভ করেন।
কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ দিনে তারাপীঠে নামে ভক্তের ঢল। এই দিনে তারামায়ের বিশেষ পুজো হয়। মায়ের শিলামূর্তিকে স্নান করানোর পর পরানো হয় রাজবেশ। মাকালী সেজে ওঠেন সোনার গয়নায়, নতুন বস্ত্রে। একশো আটটি জবার মালা, ঘিয়ের প্রদীপ ও ঘি নিবেদন করা হয়। দেবীর পুজো চলে তন্ত্রমতে। ভোগ নিবেদনেও থাকে বিশেষত্ব।
এদিন তারা মাকে চার দফায় ভোগ দেয়া হয়। দুপুরে দেওয়া হয় অন্নভোগ। ফ্রায়েড রাইস, সাদা ভাত, বাসন্তী পোলাও, সাতরকম ভাজা দেওয়া হয় অপরাহ্নের ভোগে। সন্ধেবেলায় মঙ্গল আরতির পর রকমারি ফল, মিষ্টি ও ক্ষীর দিয়ে বিশেষ শীতল ভোগ দেওয়া হয়। চিঁড়ে, লুচি-মিষ্টি-পায়েসের সুস্বাদু ভোগ দেওয়া হয়। রাত্রিবেলায় দেওয়া হয় বলির মাংস, মাছ ও কারণ ভোগ। থাকে মায়ের বিশেষ পছন্দের পোড়া শোলমাছও। তন্ত্রমতের পুজো, তাই কারণবারি ও মাংস বিশেষ জরুরি বলে মনে করেন পুরোহিতেরা তারা মায়ের ভোগে। তবে তারা মায়ের ভোগে আরও একটি জিনিস খুবই জরুরি, সেটা হচ্ছে মাছের মাথা। মাছের মাথাভাজা ভোগে থাকবেই। তবে রাতের ভোগ হিসেবে নিরামিষ খাবারই নিবেদন করা হয় তারা মাকে। তন্ত্রসাধনার জন্য কৌশিকী অমাবস্যার দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেষ দিনে এই বিশেষ দিনে বহু সাধক তারাপীঠের মহাশ্মশানে ভিড় করেন। এবং সারারাত তাঁরা তন্ত্রসাধনায় মগ্ন থাকেন।
এই দিনে তারাপীঠের শিলাময়ী দেবীকে বিশেষ স্মৃতিতে পুজো করা হয়। তিথির আগের দিন মা তারাকে একেবারে ভোর তিনটের সময় মূল মন্দির থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্রাম মন্দিরে। সেই মুহূর্তে ভক্তদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। দেবীকে স্নানাভিষেক করায় ভক্ত ও সেবায়তেরা।
রাজবেশে সজ্জিতা হন দেবী। বেনারসি সাজে হস্তমালা, মুণ্ডমালা, উলের সাজে ও ফুলের সাজে অপরূপা মায়ের মঙ্গলারতি করা হয়।
এরপর থেকে ভক্তরা মন্দিরে এসে পুজো দিতে পারেন। এই বিশেষ দিনে কুশ সংগ্রহ করলে শুভফল লাভ হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। অমাবস্যায় মাতারার সন্ধ্যারতিতেও বিশেষ আয়োজন থাকে। আধঘণ্টা ধরে চলে আরতি। রাতে মন্দির-চত্বরেই হয় মহাযজ্ঞ ও নিশিপুজোর আয়োজন।

আরও পড়ুন-সাক্ষী-বদলাপুর নিয়ে গান হবে না? কুণালের কটাক্ষ অরিজিৎকে

কঙ্কালীতলা
তারাপীঠের মতো বোলপুরে কঙ্কালীতলার সতীপীঠ অমাবস্যার এই বিশেষ অতিথিকে কেন্দ্র করে সেজে উঠবে। নানা জায়গা থেকে ভক্ত, সাধু-সন্ত্রীরা ভিড় জমান এখানে। বাউল, লোকগীতি-সহ নানা সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে।
আলোকমালায় সাজানো হয় মন্দির-চত্বর। তিন দিন ধরে দু’বেলা প্রায় চল্লিশ হাজার ভান্ডারা দেওয়া হয়। কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় পড়েছিল মা সতীর কাঁখ বা কাঁকাল। যে স্থানে কাঁকালটি পড়ে সেখানে মাটি ধসে গিয়ে গর্ত হয়ে যায়। কোপাই নদীর জল এসে গর্তে পড়ে কুণ্ডের সৃষ্টি হয়।
অমাবস্যায় এই কুণ্ডের চারপাশেই যজ্ঞ করেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধু-সন্ন্যাসীরা। এ ছাড়াও কঙ্কালীতলা মহাশ্মশানে সারারাত ধরে যজ্ঞ হয়। সকালবেলায় মাকে স্নান করিয়ে সংকল্প করানো হয়। ফুলে-মালায় সাজানো হয় দেবী মাকে। ভক্তদের বিশ্বাস এই পুণ্য তিথিতে মনস্কামনা জানালে তা পূর্ণ হয়।
মন্দিরে মন্দিরে কৌশিকী অমাবস্যা
কঙ্কালীতলা বা তারাপীঠই নয়, কৌশিকী আমাবস্যায় নানান মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন থাকে।
কলকাতার কালীঘাট ও লেক কালীবাড়িতে থাকে বিশেষ পুজোর আয়োজন। একান্ন পীঠের অন্যতম কালীঘাট। কালীঘাটের দেবী মা সেজে ওঠেন বিশেষ রূপে। বেনারসি, স্বর্ণালঙ্কার তো থাকেই, সঙ্গে থাকে ফুলের অপূর্ব সাজ।
ভোগেও থাকে বিশেষত্ব। গাওয়া ঘিয়ের পোলাও, ছয় (আলু, পটল, বেগুন, কপি, কাঁচকলা, শাক) রকমের ভাজা, সুপ্ত ডাল, পোনা মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস এবং পায়েস, খেজুর-কাজু-কিশমিশ দিয়ে চাটনি, পায়েস, পান, জল। রাতে দেওয়া হয় লুচির সঙ্গে আলু ভাজা, বেগুন ভাজা, দুধ-ছানার সন্দেশ ও রাজভোগ।
দক্ষিণেশ্বরের মায়ের ভোগে প্রতি অমাবস্যার মতোই থাকে ভাত, ঘি, পাঁচ রকমের ভাজা, তরকারি, মাছ, সেই সঙ্গে চাটনি, পায়েস নানা রকমের মিষ্টি আর জল।
বরানগরের সুপ্রাচীন ভবতারিণী মায়ের মন্দিরে ও কৌশিকী অমাবস্যায় বিশেষ পুজোপাঠ হয়। প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। নতুন বস্ত্রে, অলঙ্কারে, একশো আট জবার মালায় দেবী সেজে ওঠেন। দেবীর ভোগে থাকে খিচুড়ি, পাঁচ ভাজা, তরকারি, পায়েস পান। এছাড়া বিস্তর ফল-মিষ্টিও দিয়ে থাকেন ভক্তরা। পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে, কাঁসর-ঘণ্টায় গমগম করে মন্দির-চত্বর।
কালী কালী মহাকালী কালিকে পাপহারহারিণী
ধর্মার্থমোক্ষদে দেবী নারায়ণী নমোহস্তুতে।

Latest article