দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বুঝলে কিন্তু ভারী বিপদ। কারণ বাইরে থেকে আপনি যত সুন্দর বা স্মার্টই হন না কেন দুর্বল দাঁত মানে অর্ধেক সৌন্দর্যই মাটি। বিশেষ করে এমন একটা যুগে দাঁড়িয়ে যখন নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করা, সুন্দর করে কথা বলা আর সুন্দর হাসি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে যখন আপনার রান্নাঘরের ভাতের হাঁড়িটিও ছোট্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে তখন আপনার চেহারা এবং কথাই আপনার টিআরপি। আর কথা বেচে খাওয়ার এই যুগে সুন্দর হাসিই হল সবচেয়ে বড় সম্পদ। শুধু এই যুগ নয়, প্রাচীন কাব্য থেকে আধুনিক গল্প, উপন্যাস বিশেষ করে নারীর সৌন্দর্য বর্ণনায় বরাবরই এসেছে দাঁতের কথা। নারী এবং পুরুষ নির্বিশেষে শুধু রূপে নয়, মুক্তোর মতো সাদা দাঁত এবং ভুবন ভোলানো হাসি দিয়েই জয় করে নিতে পারেন পৃথিবী।
কিন্তু নিয়মরক্ষার্থে দিনে দু’বার দাঁত মাজলেই সেই ভুবনভোলানো হাসি আপনি পাবেনই তা হলফ করে বলা যায় না। ত্বকে জেল্লা আনতে যেমন ভরসা রাখতে হয় নানা বাড়তি যত্ন এবং কারিকুরিতে, দাঁতের ক্ষেত্রেও বিষয়টি এক। দাঁতের সৌন্দর্য বাড়াতে জন্মগত দাঁতের ত্রুটি দূর করা, দাঁত এবং মাড়ির রোগমুক্ত হওয়া এবং দাঁতকে বিভিন্ন উপায় সাজিয়ে তোলা জরুরি।
আরও পড়ুন-ভুয়ো ভোটার নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করলেন সাংসদ বাপি
সুন্দর হাসি সহজ নয়
হাসলেই হাসি সুন্দর হয় না। দাঁতে ব্যথা, মাড়ি থেকে রক্তপাত, নড়বড়ে দাঁত, ক্যাভিটি, মুখের দুর্গন্ধ ইত্যাদিও দূরে সরাতে হবে। কারণ সুন্দর হাসির জন্য প্রথমেই চাই সুস্থ, সবল, সাদা দাঁত। তার জন্য দরকার আমাদের মৌখিক স্বাস্থ্য বা ওরাল হেল্থ এবং হ্যাবিট ঠিক করা। কারণ মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখা একটা অভ্যেস। দাঁতের সমস্যা সরিয়ে দিয়ে সুন্দর দাঁত পর্যন্ত জার্নিটা কিন্তু একটু কঠিন কারণ সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের, প্রায় ৫৪% শতাংশ ভারতীয় দাঁত ও মাড়ির সমস্যায় ভুগছেন আর ১৮ বছরে বেশিদের মধ্যে ৬২% এবং ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রায় ৫২% শতাংশ দাঁত আর মাড়ি নিয়ে জেরবার।
দাঁত সাজানোয় ফাঁকফোকর
দাঁত মূলত দু’ধরনের হয়। এক, ‘প্রাইমারি ডেন্টিশিয়ান’ যাকে আমরা বাংলায় দুধে দাঁত বলি। দুই, ‘পার্মানেন্ট ডেন্টিশিয়ান’ অর্থাৎ, যে সময় থেকে মুখে বত্রিশটি দাঁত গজায়। এবার এই সময় থেকে দাঁত সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এই সমস্যার রকমফের আছে। কারও ক্ষেত্রে দুটো দাঁতের মধ্যে ফাঁক তৈরি হয়। কারও আবার একটা দাঁতের গা ঘেঁষে অন্য দাঁতের জন্ম হয়, চিকিৎসা পরিভাষায় যে সমস্যাকে ‘ক্রাউডিং’ বলা হয়। যার ফলে ব্রাশ করার সময়ে সমস্যা হয়। দাঁতে খাবার জমে গিয়ে ক্যালকুলাস জন্মায়। এ ছাড়া উঁচু-নিচু, এবড়ো-খেবড়ো দাঁতের সমস্যা রয়েছে কারও কারও। আবার কারও ক্ষেত্রে উপরের পাটির দাঁত উঁচু তো কারও নিচের পাটির দাঁত বেরিয়ে থাকে।
একবার ভাবুন তো আলিয়া ভাটের দাঁতটা এবড়োখেবড়ো বা উঁচু— কেমন লাগবে দেখতে। দাঁতের ঠিকঠাক অ্যালাইনমেন্ট বা সজ্জা হল সুন্দর হাসির প্রথম শর্ত। দাঁত কীভাবে মুখের মধ্যে সাজানো রয়েছে সেটার ওপর আপনার স্বাস্থ্যকর এবং মিষ্টি হাসিটি নির্ভরশীল। যে দাঁত সারিবদ্ধ নয় সেই দাঁতে সমস্যাও অনেক। দাঁতে ব্যথা করে, ক্যাভিটি, মাড়ি ফোলা, খাবার জমে সংক্রমণ, ক্ষয়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা যায় তাই দাঁতের সজ্জায় সমস্যা থাকলে আত্মবিশ্বাস কমে যায়, হাসি লুকানো ছাড়া উপায় থাকে না।
আরও পড়ুন-উজানযাত্রা থেকে ৪০৪৩ : দুই হুজুরের গপ্পোয় দুই সাহিত্যিকের প্রথম উপন্যাসের সাতকাহন
দাঁত যখন রঙিন
হলদেটে বা খয়েরিটে দাঁত সুন্দর হাসি পরিপন্থী। দাঁতের বাইরের স্তর বা এনামেল পাতলা হয়ে গেলে, নিচের ডেন্টিন নামক হলুদ রঙের স্তরটি দেখা যায়, ফলে দাঁত হলুদ দেখায়। আবার অনেক বদ অভ্যেসেও দাঁত হলুদ হয়। যেমন নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করা, ধূমপান, খুব বেশি চা এবং কফি খাওয়া, তামাক নেওয়া, পান, জর্দার অভ্যেস ইত্যাদি। আবার বয়স বাড়লেও দাঁত হলুদ হতে থাকে। দাঁতে প্লাক জমার ফলে দাঁতে টার্টার তৈরি হয়, বিশেষ করে ভেতরের দিকে যেখানে ব্রাশ পৌঁছয় না এর ফলেও দাঁতের রং হলদে বা খয়েরি হয়ে। অ্যান্টিবায়োটিক খেলে বা জোর আঘাত লাগলে দাঁতে ছোট ছোট ফাটল দেখা দেয় দাঁত ফ্যাকাসে হয়ে যায়।
অসুস্থ মাড়ি
দাঁত আর মাড়ি যুগলবন্দিতেই সুন্দর হয় হাসি। কিন্তু মাড়ির রোগ দাঁতের গোড়াকে দুর্বল করে তোলে। জিঞ্জিভাইটিস বা পেরিওডন্টাইটিস জাতীয় রোগে মাড়ি এবং দাঁত দুই দেখতে কুশ্রী হয়ে যায়। দাঁতের সংক্রমণ বেশি হলে দাঁতে গর্ত বা ক্যাভিটি হয় যা খুব যন্ত্রণাদায়ক। তখন দাঁত সিল করতে হতে পারে। এই সিল সবসময় দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তখন দাঁত তুলে ফেলা ছাড়া উপায় থাকে না।
সব খাবার দাঁতের বন্ধু নয়
মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ ক’জন বা আছেন। মিষ্টিজাতীয় খাবারই দাঁতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। দাঁতে গর্ত তৈরি হয় যাকে ক্যারিজ বলা হয়। এছাড়াও আলুর তৈরি আঠালো খাবার যেমন চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকে এবং সহজেই ক্যারিজ করতে পারে। সফট ড্রিঙ্কস, এনার্জি ড্রিঙ্কস, কিংবা আর্টিফিশিয়াল জুসে থাকে সাইট্রিক ও ফসফরিক অ্যাসিড। এগুলো দ্রুত ক্ষয় করে দাঁতের এনামেলের। অনেকেই দাঁত মাজতে ছাই বা কয়লা ব্যবহার করেন। এতে সাময়িকভাবে দাঁত সাদা দেখালেও দাঁতের এনামেল ক্ষয় হতে শুরু করে এবং দাঁত শিরশির করে। দাঁত দিয়ে বিভিন্ন প্যাকেট খোলা, কোল্ড ড্রিঙ্কসের কর্ক খোলা, চুলের ক্লিপ খোলে, অজান্তে পেনসিল বা কলম চিবোনো, দাঁত দিয়ে নখ বা সুতো কাটা এগুলো স্বাস্থ্যকর দাঁতের পরিপন্থী। এই অভ্যাসেও একইরকম ভাবে দাঁতের ক্ষয় হয়। আঠালো চকোলেট, চুইংগাম বেশি ক্ষতিকর, আইসক্রিম এমনকী শুধু বরফও দাঁতে ফাটলের সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন-যে বিজেপি চক্রান্তের নেপথ্যে তারাই এখন কুম্ভীরাশ্রু ঝরাচ্ছে, জাতীয় মহিলা কমিশনকেও নিশানা দেবাংশুর
অ্যাসিডিটিতে দাঁতের হাল বেহাল
অ্যাসিডিটি বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স দাঁতের ক্ষয়ের একটি বড় কারণ। পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালিতে ফিরে গেলে, এটি দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করতে পারে, ফলে দাঁতে গর্ত হয়, দাঁত নষ্ট হতে থাকে। দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট হয় সেই সঙ্গে যন্ত্রণা শুরু হয়।
দাঁতব্যথা
দাঁতে ব্যথা হচ্ছে মানে কোনও না কোনও সমস্যা আছেই। তাই প্রথমেই দাঁত ব্যথার কারণ খুঁজতে হবে। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সমস্যা জানিয়ে তার ঠিকমতো চিকিৎসা করতে হবে। পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু দাওয়াই দাঁতের ব্যথা কমাতে ব্যবহার করতেই পারেন যেমন
কুসুম-গরম জলে লবণ দিয়ে বারবার মুখ কুলকুচি করা।
কোল্ড কম্প্রেস খুব দ্রুত ব্যথানাশ করে অর্থাৎ ব্যথার দিকের গালে চেপে চেপে লাগান।
দাঁতের উপকারী খাবার
কমলালেবু, মুসাম্বি, পাতিলেবু ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল বেশি খেলে মাড়ি ভাল থাকে।
আপেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক টুথব্রাশ। খাওয়ার শেষে একটি আপেল খেতে পারেন। গাজরেও আছে দাঁত পরিষ্কারের প্রাকৃতিক ক্ষমতা। দুটো ফল নিয়মিত খেতে পারলে ভাল।
দাঁত সবল রাখতে
খাবার খাওয়ার পরপরই দাঁত পরিষ্কার করুন। ছাই, গুড়াকু দিয়ে দাঁত মাজবেন না বা কখনওই দাঁত দিয়ে জোর করে কিছু খোলার যেমন কোল্ড ড্রিঙ্কসের কর্ক, চুলের ক্লিপ খুলবেন না, অজান্তে পেনসিল বা কলম চিবোনো, দাঁত দিয়ে নখ কাটবেন না।
দাঁতের রং বদলাতে ঘরোয়া উপায়
প্রতিদিন ব্রাশ করার পরে দাঁতে এক টুকরো লেবু নিয়ে ঘষতে থাকুন। এতে যে শুধু আপনার দাঁত পরিষ্কার হবে তা নয়, বরং দাঁতের রংও ফিরবে।
শুধু লেবু নয়, নুনও বেশ ভাল কাজ করে দাঁত পরিষ্কার করতে। দাঁত মাজা হয়ে গেলে হাতের আঙুলের ডগায় অল্প লবণ নিয়ে দাঁতে ঘষে নিন। এতে দাঁতের গোড়া হবে শক্ত ও মজবুত। ফিরবে দাঁতের রংও।
দাঁত সাদা করার আরও একটি কার্যকর পদ্ধতি হল বেকিং সোডার ব্যবহার। আপনার ব্যবহৃত টুথপেস্টের সঙ্গে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। অল্প সময়েই দাঁতের রঙের পরিবর্তন চোখে পড়বে।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার দাঁতে দিয়ে ঘষলে দাঁত খুব উজ্জ্বল হবে।
আরও পড়ুন-ভুয়ো ভোটার নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করলেন সাংসদ বাপি
দাঁতকে সুন্দর করে সাজাতে
দাঁতের সৌন্দর্য নিয়ে ইদানীং ভাবনাচিন্তা বেড়েছে। সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ সবাই দাঁত সুন্দর করতে নানা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যান যেমন—
দাঁতের স্কেলিং
দাঁতেরও ত্বকের মতোই ডিপ ক্লেনজিং জরুরি। স্কেলিং হল সেই পদ্ধতি। দাঁতের প্লাক এবং টার্টার অপসারণ করতে স্কেলিং করা হয় আল্ট্রাসনিক ডিভাইসের সাহায্যে। এতে দাঁতের দাগ দূর হয়। দাঁত ঝকঝকে হয়ে ওঠে।
রুট প্ল্যানিং
এই পদ্ধতিতেও দাঁতের উপরিভাগ মসৃণ করা হয়। এর ফলে ব্যাকটেরিয়া আর দাঁতে আটকে থাকতে পারে না। মাড়ির গোড়ায় থাকা প্লাক সরে যায় ফলে মাড়ি এবং দাঁত সবল হয়ে ওঠে।
ব্রেস
দাঁতের অ্যালাইন ঠিক করতে ব্রেসেস খুব ভাল একটা উপায়। ব্রেসগুলি এবড়োখেবড়ো দাঁত সোজা করে। দাঁতের মধ্যে ফাঁক বন্ধ করে। নানাধরনের ব্রেস হয় মেটাল ব্রেস, সেরামিক ব্রেস এছাড়া হয় লিঙ্গুয়াল ব্রেস ও ক্লিয়ার অ্যালাইনার। মেটাল ব্রেসেস পরা থাকলে মুখ খুললে দেখতে একটু খারাপ লাগে তাই এখন লিঙ্গুয়াল ব্রেস ব্যবহার করা হয়। এটা দাঁতের ভিতর দিক থেকে লাগানো হয় বাইরে থেকে দেখা যায় না। ব্রেস হল ক্লিপের মতো একটি জিনিস। যেটি প্রত্যেকটি দাঁতের উপর চাপ তৈরি করে। এই চাপ দিয়ে দাঁতের স্বাভাবিক গঠনে ফেরানো হয়।
ভিনিয়ার
ব্রেসেস ছাড়াও দাঁতে ‘ভিনিয়ারিং’ করানো হয়। অনেকের দাঁত ক্ষয়ে ছোট হয়ে যায়। তখন দাঁতের উপর দিয়ে সেরামিকের পুরু স্তর দেওয়া হয়। অনেকেটা নেলপালিশ পরার পর তার উপর দিয়ে জেল ব্যবহার করা। ঠিক তেমনই। এই ভিনিয়ার দু’ধরনের হয় একটা পোর্সেলিনের এবং অপরটি রেজিন কম্পোজিট।
হোয়াইটনিং
ভিনিয়ারিং ছাড়াও সুন্দর করতে অনেকেই ‘হোয়াইটনিং’ করতে চান। যাকে আমরা ‘ব্লিচিং’ও বলে থাকি। মূলত লেজার দিয়ে করা হয় এই টিথ ব্লিচিং করানো হয়। এর ফলে দাঁত ঝকঝকে হয়। দাঁতের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে।
ব্রিজ ও রুট ক্যানেলিং
দাঁতের আরও একটি ট্রিটমেন্ট হয় সেটি হল ‘ব্রিজ’। পাটিতে কোনও দাঁত না থাকলে কিংবা কোনও দাঁত আধভাঙা অবস্থায় থাকলে মূলত ব্রিজ করানো হয়। সে ক্ষেত্রে যদি ভেঙে গিয়ে থাকে, তা হলে ‘রুট ক্যানাল’ ছাড়া গতি নেই। ক্যানালিং করে সংক্রমিত রুটকে লক করে দাঁতটি রক্ষা করা হয়। তার পরে ওর উপর একটি ক্যাপ লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেটিকে ‘ক্রাউন’ বলে। একদম অবিকল দাঁতের মতো হয় সেই ক্রাউন আর মেটালেরও হয়। তবে ‘রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট’ হয় একটা দাঁতের ক্ষেত্রে। যদি অনেকগুলি দাঁতের একসঙ্গে ট্রিটমেন্ট করা হয়, সেটাকে তখন ব্রিজ বলে। যদি মাঝে পরপর কোনও দাঁত না থাকে তার পাশের দুটো দাঁত যদি শক্ত হয়, তা হলে সেই দাঁতের সাহায্যে মাঝের দাঁত বসানো হয়। এটা মুখের সঙ্গে আটকে থাকে। এই পদ্ধতিতে বোঝাই যায় না কোনও কৃত্রিম দাঁত বসানো হয়েছে। কারণ দাঁতের মাপ এবং গঠনের অন্য দাঁতগুলির সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হয়।