প্রতিবেদন : ঠিক কবে এবং কত দফায় রাজ্যে বকেয়া পুরনির্বাচন সম্ভব, তা ১৯ ডিসেম্বরের পরে আদালতকে জানাতে পারবে রাজ্য। হাইকোর্টে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে বিচারপতিদের প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার এ-কথা জানিয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানি শেষ হলেও শুক্রবার রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। এদিন তাঁর সওয়ালে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, কোভিড পরিস্থিতি ঠিক কেমন, তা না জেনে বকেয়া ভোটের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া কোথায় কত পুলিশ এবং ভোটকর্মী লাগবে, তা-ও দেখতে হবে। রাজ্য মে মাসের মধ্যে ভোট না করাতে পারলে নিজেই তা আদালতকে জানাবেন।
আরও পড়ুন : ২৭শে দার্জিলিং যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই কমিশন দিন ঘোষণা করে। সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার বিষয়টাও দেখতে হবে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোটগ্রহণ। তারপরেই বকেয়া পুরনির্বাচনের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে হাইকোর্টে তথ্য পেশ করবে রাজ্য। তবে একাধিক প্রার্থীর অভিযোগ, শুধুমাত্র পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া নয়, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে অনাবশ্যক আইনি জটিলতা তৈরি করে আসলে ভোট বন্ধ করে দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।