প্রতিবেদন : বিরোধী দলনেতার বোমা বিস্ফোরণের হুঁশিয়ারির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার এক ভয়ঙ্কর চক্রান্তের পর্দাফাঁস করল কলকাতা পুলিশ। তবে কি এই হামলার দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন বিরোধী দলনেতা? তবে কি আমাদের সর্বোচ্চ নেতা-নেত্রীদের জীবনহানির ছক কষা হচ্ছিল? সেটাই কি বোঝাতে চাইছিলেন তিনি। প্রশ্ন তুলল তৃণমূল।
আরও পড়ুন-মনোনয়নপত্র জমা দিলেন শতাব্দী রায়
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নই তুললেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁরা বলেন, একটা প্ল্যান হচ্ছে, কী করে আমাদের নেতা-নেত্রীদের জীবনহানি ঘটানো যায়। এখানে মুম্বই হামলার ধাঁচে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষা হচ্ছে। বাইরে থেকে অপরাধীরা এসে রেইকি করছে। কিন্তু এই চক্রান্ত ফাঁস করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এর জন্য আমরা কলকাতা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সেইসঙ্গে তাঁদের অভিনন্দন জানাই। কলকাতা পুলিশ দেখিয়ে দিয়েছে তাঁরা নিজেদের নামের মর্যাদা রক্ষা করতে পারে। প্রমাণ করে দিয়েছে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি তাঁদের দিকে যে ভাবে আঙুল তোলে সেটাও কতটা ভুল। মুম্বই থেকে রাজারাম রেগেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ দেখিয়ে দিয়েছে তাঁদের দক্ষতা। শুধু আমরা নয়, গোটা রাজ্যের মানুষ, গোটা দেশের মানুষও আজ কলকাতা পুলিশের প্রশংসা করছে। তারা এর আগেও একাধিকবার প্রমাণ করেছে নিজেদের দক্ষতা। ২০০২ সালে আমেরিকান সেন্টারে হামলায় অভিযুক্তদেরও ধরে নিয়ে এসেছিল কলকাতা পুলিশ। যারা এখনও জেলে রয়েছে। চিটফান্ড কর্তা সুদীপ্ত সেনকেও কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করে এনেছিল এই কলকাতা পুলিশই। আজ বলতে গর্ব হয় দেশের মধ্যে মহিলাদের জন্য নিরাপদতম শহরের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে কলকাতা। শুধু তাই নয়, টানা তিন বছর দেশের নিরাপদতম শহরের তালিকায় জায়গা পেয়েছে কলকাতা। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি নয়, ন্যাশনাল ক্রাইম বুরোর রিপোর্ট এই কথা বলছে।