সত্তর বছরের প্রশান্তবাবুকে নিয়ে অদ্ভুত সমস্যায় পড়েছেন তাঁর বাড়ির লোক। প্রশান্তবাবু বাথরুমে ঢুকছেন স্নান করতে, কিন্তু কিছুক্ষণ পরে স্নান না করে বেরিয়ে আসছেন। তাঁকে কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে বলছেন তিনি তো স্নান করেছেন। আবার সকালবেলায় তাঁর বউমা এসে তাঁকে জলখাবারের প্লেট দিয়ে যাওয়ার পর তিনি দিব্যি আয়েশ করে খাবারটা খাচ্ছেন। খাবারটা খেয়ে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরে আবার তিনি চিৎকার করে বাড়ির লোককে বলছেন কেন তাঁকে সকালের খাবার এত বেলা অবধি দেওয়া হল না। এ-ধরনের হাজারো ভুলে যাওয়ার সমস্যা তাঁর মধ্যে দেখা দিচ্ছে। আর প্রশান্তবাবুর এই অদ্ভুত আচরণে বাড়ির লোক ভীষণ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। তাঁরা ভেবেই পাচ্ছেন না হঠাৎ করে প্রশান্তবাবুর কী হল! কেন তিনি এরকম করছেন!
আরও পড়ুন-
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গেল প্রশান্তবাবু অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত। সেই কারণেই তিনি ভুলে যাচ্ছেন সব।
কী উপায়
অ্যালঝাইমার্স হল ডিমেনশিয়ার সবচেয়ে জটিল রূপ। আসলে ডিমেনশিয়া হচ্ছে এমন একটি রোগ যেটা কোনও ব্যক্তির মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে কাজ করতে বাধা দেয়। আর এর কারণে চিন্তাভাবনা করতে, মনে রাখতে এবং কথা বলতে নানাবিধ সমস্যা হয়ে থাকে। তবে ডিমেনশিয়ার রোগীর প্রাথমিক পর্যায়ের যত্নআত্তি পরিবারের লোকজন আর বন্ধুবান্ধবরাই ভালভাবে করতে পারেন। ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজন কেয়ার গিভারের। কিন্তু বাড়ির লোকজন যখন তাঁর দেখাশোনা করবেন তখন অবশ্যই চিকিৎসকের কাছ থেকে একটা সম্যক ধারণা নিতে হবে এবং তাঁর পরামর্শ মতোই করতে হবে।
বিপজ্জনক কাজে অব্যাহতি
এই ধরনের রোগীদের বিপদ হতে পারে যে কোনও সময় কারণ তাঁরা ভুলে যান। তাই এমন কোনও কাজ কখনওই করতে দেওয়া যাবে না যাতে রিস্ক ফ্যাক্টর রয়েছে যেমন আগুনের কাজ, গাড়ি চালানো, সুচ-সুতো দিয়ে সেলাই করা, কাঁচি দিয়ে বা ছুরি দিয়ে কোনও কাজ ইত্যাদি। বাড়ির লোকজনকে সচেতন থাকতে হবে আর দেখতে হবে যাতে রোগীর মন সবসময় ভাল থাকে।
মস্তিষ্ক সচল রাখা
ডিমেনশিয়া হলে মস্তিষ্ক তথা ব্রেন সঠিকভাবে কাজ করতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই নানা ধরনের থেরাপির মাধ্যমে সেই ব্যক্তির ব্রেন সচল রাখার চেষ্টা করলে অনেকটাই সুফল মেলে। বিশেষ করে যাতে মাথার কাজ অনেক বেশি লাগে এমন ব্রেইন গেম বা বুদ্ধিমত্তার খেলা খেলানো জরুরি। খবরের শব্দছক বা নতুন কোনও ভাষা শেখা খুব কার্যকরী ফল দেয়। শুধু ভাষা নয়, যে কোনও নতুন কিছু শেখা এই ধরনের রোগীর স্মৃতিলোপের সমস্যাকে মন্থর করতে পারে, তাঁকে খানিকটা সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে। সেই কারণে চিকিৎসক সবসময় পরিবারের লোককে পরামর্শ দেন ডিমেনশিয়া আক্রান্ত রোগীদের কাগজ পড়াতে, বই পড়াতে, নতুন কিছু শেখাতে আর সবসময়ই যাতে তাদের মন ভাল থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে।
আরও পড়ুন-কলেজিয়াম কোনও ‘অনুসন্ধান কমিটি’ নয়, বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রকে কড়া কটাক্ষ করল সুপ্রিম কোর্ট
পুরনো স্মৃতিচারণ
কোনও কোনও ক্ষেত্রে অনেক সময় এই রোগী নিজের ঘরবাড়ি বা নিজের প্রিয়জনদেরও চিনতে পারেন না। সেই সময় তাঁদের সঙ্গে পুরনো দিনের গল্প শেয়ার করতে হবে, যাতে তাঁরা স্মৃতিচারণের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে সচল করে তুলতে পারে, ব্যবহারিক, মানসিক পরিবর্তন আসে। তারা কী ভালবাসে, কোন গানটা তাদের প্রিয় ছিল সেই সবকিছু আবার তাঁদের সামনে পুনরায় উপস্থাপন করতে হবে। আর এই ভাবেই ধীর ধীরে একজন অ্যালঝাইমার্স আক্রান্ত ব্যক্তিকে তাঁদের বাড়ির প্রিয়জনেরা একটা নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আনতে সক্ষম হবেন।
ডিমেনশিয়া রোগীদের যত্ন নেওয়ার জন্য গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ডে কেয়ার সেন্টার। সেখানে ডিমেনশিয়া রোগীদের প্রশিক্ষিত কেয়ার গিভারদের দিয়ে খুব ভালভাবে যত্ন নেওয়া হয়। কারণ ডিমেনশিয়া রোগীর দেখভাল করবেন যাঁরা তাঁদের প্রশিক্ষিত হওয়া জরুরি।
এআরডিএসআই ক্যালকাটা
ডিমেনশিয়া ডে কেয়ার সেন্টার
এই ডে কেয়ার সেন্টারটি ২০০৮ সালে শুরু হয়। এই ডে কেয়ার সেন্টারের পক্ষ থেকে নীলাঞ্জনা মৌলিক জানান যে, এই ডিমেনশিয়া রোগীর ব্রেন ড্যামেজে ফলে নানান ধরনের সমস্যা হয়।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশের পর ওড়িশায়, থানায় যৌননির্যাতন সেনা জওয়ানের বান্ধবীকে
অনেক সময় বাড়ির মানুষদের এই ধরনের ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেখাশুনো করতে অসুবিধা হয়, কারণ এঁদের যেভাবে টেককেয়ার করতে হয় সেই প্রশিক্ষণ বাড়ির সাধারণ মানুষদের থাকে না। ডিমেনশিয়া ডে কেয়ার সেন্টারে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সকলেই এই রোগটি সম্পর্কে প্রশিক্ষিত হন। ফলে তাঁরা জানেন যে অ্যালঝাইমার্সের রোগীকে কোন পদ্ধতিতে বিভিন্ন উৎকর্ষমূলক কাজে ব্যস্ত রাখা সম্ভব। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে ডে কেয়ারে ভর্তি করলে রোগীর অবস্থার উন্নতি হয় অনেকটাই। ভর্তি পরে, প্রথমে দেখা হয় যে মানুষটা কী করতে পারছেন বা তাঁকে দিয়ে কী করানো যেতে পারে। এছাড়াও আগে কী করতেন অর্থাৎ তাঁর পেশা কী ছিল, তিনি কী গান ভালবাসতেন, তিনি কী করতে ভালবাসতেন, কাদের পছন্দ করতেন, কাকে করতেন না— সবটুকু জেনে নিয়ে সেই মতো যাঁরা কেয়ার গিভার থাকেন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয় এবং সেই কেয়ার গিভার রোগীকে সেইভাবেই দেখাশুনো করে থাকেন। ডে কেয়ারের উদ্দেশ্য হল রোগীকে তাঁর পছন্দের বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত করা। একটি মান্থলি রুটিন থাকে সেই রুটিনটা এখানকার সব সদস্য ফলো করেন। সেন্টারে সকালটা শুরু হয় প্রার্থনা সঙ্গীত দিয়ে। প্রতিদিন আলাদা আলাদা প্রার্থনা সঙ্গীত হয়। এবং মাসের শেষে গিয়ে দেখা হয় যে এই ডিমনেশিয়া আক্রান্ত মানুষরা কোন কোন প্রার্থনা সঙ্গীত মনে রাখতে পারছেন বা গাইতে পারছেন। এরপরে কোনও একটা বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। যেমন বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বিশ্বকর্মা পুজোর উপর আলোচনা হল, ওঁদের যেহেতু পুরনো দিনের কথা মনে থাকে সেহেতু বিশ্বকর্মা পুজোর ছোটবেলার দিনটার কথা মাথায় রেখে আলোচনা হল। হয়তো তাঁদের ঘুড়ি বানাতে দেওয়া হল বা অন্য কোনও দায়িত্ব। এরপর থাকে মিউজিক সেশন। এখানে নানারকম মিউজিকের ব্যবহারে তাঁদের শারীরিকভাবে সচল রাখা হয় বা মানসিকভাবে তাঁদের আনন্দ দেওয়া হয়। এরপর ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করানো হয়। এখানে সবাই সাধারণত চেয়ারে বসেই করেন। কারণ অনেকের দাঁড়িয়ে করতে অসুবিধা হয়। এটা আধঘণ্টা সময় ধরে হয়। এরপর দুপুরে খানিক বিশ্রামের পর তাঁদের জন্য শো-টাইম থাকে।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশের পর ওড়িশায়, থানায় যৌননির্যাতন সেনা জওয়ানের বান্ধবীকে
এখানে পুরনো দিনের সিনেমা বা ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। এই ধরনের বিষয় অ্যালঝাইমার্স রোগীর মানসিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। এরপরে আবহাওয়া ঠিক থাকলে তবেই বাইরে কিছু ফিজিক্যাল স্পোর্টস অর্থাৎ গেম খেলানো হয় এছাড়াও ইনডোর গেম যেমন লুডো, ক্যারাম, এই ধরনের খেলা যেখানে হাত, চোখ, বুদ্ধিবৃত্তি উদ্দীপিত হবে। এরপরে বিকেলে বাড়িতে ফিরে যান। এই ডে কেয়ারের উদ্দেশ্য হচ্ছে ডিমেনশিয়াজনিত সবরকম সমস্যা থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের রোগীদের জীবন যাপনের গুণগত মানকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখা যায়। এই সমস্ত নানান রকম ব্যস্ততার মধ্যেই তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। ডে কেয়ার সংস্থার উদ্দেশ্য হল এই মানুষগুলোকে ভাল রাখা। আবার এই ছ’-সাত ঘণ্টা অর্থাৎ যে সময়টা তাঁরা ডে কেয়ারে কাটান সেই সময়টা বাড়ির মানুষেরা বিশ্রাম পান এবং তখন তাঁরা তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করতে পারেন। যাঁরা চাকরিজীবী রয়েছেন তাঁরা দায়িত্ব পালন করতে পারেন। আবার যখন চারটের পরে এই মানুষগুলো বাড়ি ফেরেন তাঁদের ভালভাবে দেখাশুনো করতে পারেন। সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটে অবধি সোম থেকে শনি এই ডে কেয়ার সেন্টারটি খোলা থাকে। ফোন নম্বর : ৯৩৩১০ ৩৯৮৩৯
ডিগনিটি ফাউন্ডেশন-ডিমেনশিয়া
ডে কেয়ার সেন্টার, কলকাতা
ডিগনিটি ফাউন্ডেশন শুরু হয়েছিল ২৫ বছর আগে। কিন্তু তখন এটা ডিমেনশিয়া ডে কেয়ার ছিল না। ছিল লোনলিনেস মিটিগেশন সেন্টার। সেই সময় যাঁরা একা থাকতেন অর্থাৎ যাঁদের ছেলে-মেয়েরা বাইরে চলে গেছে বা রিটায়ার করার পরে কেউ একাকিত্বে ভুগছেন এই সমস্ত বয়স্ক মানুষ এখানে আসতেন তাঁদের একাকিত্ব কাটানোর জন্য। এই সেন্টারের হেড অফিস মুম্বইয়ে। তাঁরা ঠিক করলেন যে এই কলকাতায় এই সেন্টারটাকে ডিমেনশিয়া ডে কেয়ার সেন্টার করবেন। সেই মতন ২০২৩ সাল থেকে এখানে ডিমেনশিয়া ডে কেয়ার সেন্টার তৈরি করা হয়। ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে পথচলা শুরু করে ডিগনিটি ফাউন্ডেশনের এই ডিমেনশিয়া ডে কেয়ার সেন্টার। বিভিন্ন জায়গার মেম্বার এই ডিমেনশিয়া ডে কেয়ার সেন্টারে রয়েছেন। এই দেখে আর সেন্টারের পক্ষ থেকে সুপ্রিয়া চক্রবর্তী বললেন, ১০ থেকে ১২ কিলোমিটারের মধ্যে কেউ যদি থাকেন তখন তাঁকে বাড়ি থেকে পিক আপ করা হয়। অবশ্য, অনেকে নিজেরাই বাড়ি থেকেই রোগীকে এখানে দিয়ে যান। তবে ডিমেনশিয়াকে রোগ বলতে নারাজ সুপ্রিয়া। এটা একটা অবস্থা। বয়সকালে কিছু কিছু মানুষ এই মানসিক অবস্থায় উপনীত হতে পারেন। অর্থাৎ এটা একটা বয়সোচিত অবস্থা। মোটামুটি পৌনে এগারোটার মধ্যে এখানে সবাই ঢুকে যান। এরপর এক জায়গায় সবাই মিলে অ্যাক্টিভিটি শুরু করেন। প্রথমে প্রার্থনা দিয়ে দিন শুরু করানো হয়। একেক দিন একেক রকম ভাষায় গান চালিয়ে সেটা সবাই মিলে গাওয়া হয়। এরপর নানা ধরনের প্রশিক্ষণ চলে। যেমন বিভিন্ন ধরনের কাউন্টিং করানো হয় অথবা আজ কোন দিন জিজ্ঞেস করা হয় বা কোন তারিখ, কী বার এই ধরনের বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়। এছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বোর্ডে বিভিন্ন ধরনের লেখা লেখানো হয়। এর পরে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলানো হয়। যেমন পেছনদিকে হাঁটা। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জোকস বলা হয়, হাসি-ঠাট্টা করা হয়, এগুলো করবার কারণ হচ্ছে অ্যাক্টিভিটিসে ব্যস্ত রাখা এছাড়াও মোক টেস্ট করা হয়। ডিমনেশিয়া মানেই সব ভুলে যাওয়া নয়, কিছু কিছু অবস্থার কথা তাঁরা ভুলে যান। এখানে মেমরি কলব্যাক করা হয়। বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে তাঁদের উন্নতিটা লিখে রাখা হয়। নিয়মিত রোগীর প্রেশার, সুগারও পরীক্ষা করা। কোনও ওষুধ থাকলে তাঁদের সেটা খাওয়ানো হয়। ধ্যান করানো হয়, যাতে মন তরতাজা থাকে সবসময় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়। দুপুরের খাবারের পর খানিক্ষণ বিশ্রাম করেন তাঁরা। পৌনে চারটের মধ্যে উঠিয়ে জল খাওয়ানো হয়। কারণ এক ধরনের রোগী জল খেতে ভুলে যান। আর তারপর ছোট ছোট ছড়ার বই থেকে পড়তে দেওয়া হয়, বোর্ডে লেখানো হয়, তাঁরা আঁকেন রং করেন, কেউ কেউ আবার কবিতা লেখেন, এইসব অ্যাক্টিভিটি এই সময় হয়ে থাকে। এছাড়াও এমন অনেক সদস্য আছেন যাঁরা স্বেচ্ছাসেবী তাঁরা এই সময় এসে এই সব রোগীর সঙ্গে সময় কাটান।
প্রথমে বাড়িতে গিয়ে ডিমেনশিয়া রোগীকে দেখেন। তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে কেস হিস্ট্রি জানেন এবং তারপর সেন্টারে ভর্তি নেন। এঁদের মধ্যে যাঁরা বাড়ি থেকে সেন্টারে আসতে অপারগ তাঁদেরকে বাড়িতেই কেয়ার গিভারের ব্যবস্থা করেন। যাঁরা আসতে সক্ষম তাঁদের নিয়ে আসা হয় এখানে। ফোন নাম্বার : ৯৮৩৬৬২৭৬৬৬
এই দুটি ডিমেনশিয়া ডে কেয়ার সেন্টার ছাড়াও আরও কিছু সেন্টার পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। সেগুলো হল
মন মাঝি রেসিডেন্সিয়াল কেয়ার, কলকাতা
ডিমেনশিয়া কেয়ার সেন্টার শিলিগুড়ি
ভোলানাথ দাস ডিমেনশিয়াল ক্লিনিক, চন্দননগর