সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : চোর ধরতে পুলিশ নয়, ওঝা ডাকার এই নির্দেশে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বিরুলিয়া গ্রামে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ছি-ছিক্কার পড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী মহিলাকে চোর সন্দেহে নগ্ন করে তল্লাশির ঘটনাতেও উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রামে (Nandigram)। এই নিন্দনীয় ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় (Nandigram Police Station) বিজেপির ৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, নলধড়কার সাহায্যে প্রতিবেশী চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহ করে এলাকায় মাইকিং করে সালিশিসভা বসে। মহিলার বাড়িতে চলে হামলা। পরিবারের সদস্যদের মারধর করে বাড়িছাড়া করার ঘটনা ঘটে। এলাকায় মাইকিং করে একঘরে করার নিদান দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় অভিযুক্তরা বিজেপির নেতা-কর্মী হিসেবে পরিচিত। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পালের খাসতালুকে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মহিলার পরিবার স্থানীয় ৯ বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রসঙ্গত, কদিন আগে বিরুলিয়া গ্রামের শিবশঙ্কর জানার বাড়ি থেকে সোনার গয়না চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় থানা-পুলিস না করে শিবশঙ্করের পরিবার তুকতাকে ভরসা করেন। সন্দেহভাজনকে ধরার জন্য গুণিন এনে ‘নলধড়কা’-র সাহায্যে শিবশঙ্করের এক কাকিমাকে সন্দেহভাজন দেগে দেওয়া হয়। তারপরই চলে তাঁকে নগ্ন করে অনৈতিক তল্লাশি। পাশাপাশি সালিশিসভা ডেকে চুরি যাওয়া গয়না দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত জানানো হয়। নিগৃহীতা মহিলা ও তাঁর পরিবার জানান, চুরির ঘটনায় তাঁরা জড়িত নয়। সুতরাং খোয়া যাওয়া সোনা ফেরানো সম্ভব নয়। নিগৃহীতার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো ও মারধরের পাশাপাশি পরিবারটিকে একঘরে করে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করা হয়। ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা সরোজাক্ষ ত্রিপাঠী-সহ ওই দলের ৯ কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীতা মহিলার পুত্রবধূ। তারপর থেকেই অভিযুক্তরা বেপাত্তা। অভিযুক্ত সরোজাক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে চিঠিচাপাটি লেখার কাজ করে। ঘটনায় বিজেপির নিজেদের মধ্যেই ব্যাপক ঝামেলা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজ্যপাল-নিযুক্ত উপাচার্যেরা শিক্ষাক্ষেত্রে গেরুয়াকরণ চান