বাম নেতৃত্বের গুন্ডামি, স্কুলের অশিক্ষক কর্মীকে চড়থাপ্পড়, কান ধরতে বাধ্য করানোর অভিযোগ

পাশাপাশি ওই স্কুলের একাধিক শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে বাম নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।

Must read

সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : বহরমপুরের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ইনস্টিটিউশনের সামনে বুধবার বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ চলাকালীন ওই স্কুলের এক অশিক্ষক কর্মীকে জোর করে স্কুলের সামনে কান ধরতে বাধ্য করানোর অভিযোগ উঠল বাম নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন বাম নেতৃত্বের তরফ থেকে ওই অশিক্ষক কর্মীকে চড়-থাপ্পড়ও মারা হয়। পাশাপাশি ওই স্কুলের একাধিক শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে বাম নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, নতুন শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবারই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই স্কুল। বাম নেতৃত্বের তরফে অভিযোগ করা হয়ে, সরকার নির্ধারিত ২৪০ টাকার পরিবর্তে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় ১২০০ টাকা ফিস নিচ্ছেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার স্কুলে ছোটখাটো সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

আরও পড়ুন-নিখরচায় ১০০ পড়ুয়াকে নিটে বসার কোচিং জেলা প্রশাসনের, সূচনায় সাংসদ

মঙ্গলবারের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাম নেতৃত্ব। বিক্ষোভ চলাকালীন স্কুলের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা যখন স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন সেই সময় কয়েকজন বাম কর্মী-সমর্থক এক অশিক্ষক কর্মীকে ঘিরে ধরে চড়থাপ্পড় মারেন এবং জোর করে তাঁকে সকলের সামনে কান ধরতেও বাধ্য করা হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশিস মণ্ডল বলেন, ‘স্কুলের বিদ্যুতের বিল, কম্পিউটার শিক্ষা, নিরাপত্তারক্ষী রাখা সহ কয়েকটি খাতে সরকারি টাকা পাওয়া যায় না। সেই কারণে সরকার নির্ধারিত ফিসের বাইরেও কিছু অতিরিক্ত টাকা ভর্তির সময় নেওয়া হয়েছে। তবে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীর আর্থিক সঙ্গতি নেই তাদের এই টাকা দিতে হয়নি। স্কুলের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ওই রাজনৈতিক দলের নেতারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গতকাল ওঁরা স্কুলে ঢুকে কয়েকজন শিক্ষককে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। কয়েকজনকে জোর করে স্কুল থেকে বের করে দেন। বুধবার সকালে যখন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা স্কুলে আসছিলেন সেই সময় ওঁরা কয়েকজনকে ধাক্কা দেন। আমার মোটর সাইকেলের চাবিও খুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।’ যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন ডিওয়াইএফ জেলা সম্পাদক সন্দীপন দাস।

Latest article