প্রতিবেদন: ফের বিচারব্যবস্থায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের সুপারিশ সত্ত্বেও হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে শ্বেতাশ্রী মজুমদার এবং রাজেশ দাতার নিয়োগ দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ক্যাম্পেইন ফর জুডিশিয়াল অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যান্ড রিফর্ম (সিজেএআর)। এক বিবৃতিতে এই সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
আরও পড়ুন-মিজোরামের চাকমা স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদে জারি হল রাজ্যপালের শাসন
বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন কেন্দ্রের টালবাহানার কারণে শ্বেতাশ্রী মজুমদার এবং রাজেশ দাতার বিচারপতি হিসেবে তাঁদের নিয়োগের সম্মতি প্রত্যাহার করে নেন। কলেজিয়ামের সুপারিশকৃত অন্য আইনজীবীদের নাম অনুমোদন করা হলেও মোদি সরকার এই দুজনের নাম আলাদা করে রেখে দেয় এবং অনুমোদন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করতে থাকে। এর ফলেই এই দুই আইনজীবী তাঁদের সম্মতি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। সিজেএআর গভীর হতাশা প্রকাশ করে বলেছে, শ্বেতাশ্রী মজুমদার এবং রাজেশ দাতার হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগে ব্যাখ্যাতীতভাবে এবং অসাংবিধানিকভাবে বিলম্বের কারণে নিজেদের সম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এই ঘটনাটি বিচারব্যবস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপের চেষ্টা। বিবৃতিতে বলা হয়, ক্যাম্পেইন ফর জুডিশিয়াল অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যান্ড রিফর্ম গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত শ্বেতাশ্রী মজুমদারের নাম মোদি সরকার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে রেখেছিল। অন্যদিকে, বম্বে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত চারজন আইনজীবীর তালিকা থেকে রাজেশ দাতারের নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সরকার তা আলাদা করে রাখলে তিনিও তাঁর সম্মতি প্রত্যাহার করে নেন।
সিজেএআর তাদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, ২০২২ সালে সিনিয়র অ্যাডভোকেট আদিত্য সন্ধির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। এটি দুর্ভাগ্যজনক যে সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি আখ্যা দিয়ে সিজেএআর সুপ্রিম কোর্টকে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা বজায় রাখতে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।