প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এবার নিম্নমানের ওষুধ (Drug scam) তৈরির অভিযোগ উঠল। আর এই নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে বিদেশে। একাধিক দেশ এই নিম্নমানের ওষুধ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত সরকারের কাছে। এই ওষুধ কেলেঙ্কারি বিশ্বের দরবারে দেশের মানসম্মানকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। যে বিজেপি সরকার কথায় কথায় স্বচ্ছ প্রশাসনের কথা বলেন, তাদের নাম সরকারি ওষুধ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত হয়ে গেল। এই অভিযোগও উঠেছে যে, উজবেকিস্তানে নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহের জন্য ১৮ জন শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাউটের চিকিৎসার নামে অতি-নিম্নমানের ওষুধ পাঠানো হয়েছে। মার্কিন সরকার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এই মর্মে অভিযোগও করেছে। কিন্তু কীভাবে এই নিম্নমানের ওষুধ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ছাড়পত্র পেল তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ভারত সরকারের অধীনে রয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। কোভিডের টিকার ছাড়পত্র এই সংস্থাই দিয়েছিল। ওই সময় বিভিন্ন ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন এই সংস্থা কীভাবে এই নিম্নমানের আন্তর্জাতিক বাজারে ওষুধ সরবরাহের অনুমতি দিল। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের দল তৈরি হয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে। এ পর্যন্ত ৮২টি ওষুধ (Drug scam) প্রস্তুতকারক সংস্থার দফতরে হানা দিয়েছে এই যৌথ দল। আচমকা এই হানায় ধরা পড়েছে এই নিম্নমানের ওষুধ তৈরির তথ্য প্রমাণ। তার ভিত্তিতে ১৮টি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ৩২টি কোম্পানিকে শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কেন নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার লাইসেন্স বাতিল না করে চুপ করে থাকছে কেন্দ্রীয় সরকার। মানুষের রোগ নিয়ে যারা নিম্নমানের ওষুধ তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করে, বিশেষ করে তারা শুধু দুর্নীতিগ্রস্তই নয়, বলা ভাল মৃত্যুর দিকে মানুষকে এগিয়ে দিচ্ছে। যা কোনও অংশে ফৌজদারি অপরাধের বাইরে রাখা যায় না। দুর্ভাগ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এখন পর্যন্ত এতবড় কেলেঙ্কারি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কোনও তদন্তের নির্দেশ দেয়নি। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বিবৃতিও দেয়নি।
আরও পড়ুন- অবসর নিলেন প্রকাশ শ্রীবাস্তব, কলকাতা হাইকোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি শিবাগ্ননম