প্রচারের ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে

Must read

প্রতিবেদন : সন্দেশখালিতে চক্রান্ত করেও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে গো-হারা হেরেছে বিজেপি। হারের পরই চরমে উঠেছে বিজেপির (Shame On BJP) গোষ্ঠীকোন্দল। কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবিরের সংগঠনের। দলের মধ্যে থেকেই উঠছে একের পর এক অভিযোগ। অন্তর্ঘাত থেকে শুরু করে প্রচারের জন্য বরাদ্দ টাকা আত্মসাৎ, কিছুই বাদ যাচ্ছে না। অভিযোগ উঠছে, ভোটের আগে প্রার্থীর নাম করে টাকা তুলেছে দলের একাংশ। সব জেনেও চুপ করে ছিলেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা (Shame On BJP)। সূত্র মারফত খবর, শুধু বসিরহাট লোকসভা আসনে খরচ করার জন্য দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায় ১২ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন। এখন দলের নিচুতলার একাংশ বলছে, নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ টাকা নাকি কোনও এলাকাতেই পৌঁছয়নি। উল্টে টাকা চাইতে গেলে জুটেছে হুমকিও। দুর্নীতির এখানেই শেষ নয়। নির্বাচনের কাজে গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে বলে গাড়ির বিল দেখিয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন স্থানীয় নেতাদের একাংশ। হারের পরই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা অভিযোগ করছেন, ভোটে দফতর থেকে আসা টাকার কানাকাড়িও তাঁরা পাননি। টাকা না মেলায় সিংহভাগ বুথেই বিজেপির কোনও এজেন্টও দেওয়া যায়নি। ভোট মিটতেই এখন এসব অভিযোগে সরগরম বসিরহাট বিজেপির অন্দরমহল। সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি তাতে আগামী দিনে এলাকায় বিজেপির অস্তিত্বই থাকবে কি না, সেটাই প্রশ্নের মুখে। সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ রেখা পাত্র লোকসভা ভোটে তিন লাখেরও বেশি ভোটে হেরেছেন তৃণমূলের হাজি নুরুলের কাছে। সন্দেশখালিতে বিজেপি যে নেহাতই কাগুজে বাঘ ছিল এই ফলাফলেই তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, বসিরহাট লোকসভায় সাতটি বিধানসভা। ঠিক ছিল যা টাকা আসবে তা সাতটি বিধানসভায় ভাগ করে দেওয়া হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কিছুই হয়নি। সবটাই হয়েছে কাগজে কলমে। পুরো টাকাটাই ওই এলাকায় দলের দায়িত্বে থাকা তিন-চারজন মিলে ভাগ করে নিয়েছেন। বিজেপি কর্মীদের দাবি, ভুয়ো বিল জমা করে টাকা তোলা হয়েছে। এমনকী কলকাতা থেকে আসা কিছু নেতাও এই চক্রে যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন-ফোনে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী

Latest article