বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথগ্রহণ নিয়ে সই-জালিয়াতির অভিযোগ, তীব্র শোরগোল

সেই সময় ইউনুসকে ফুল-মালা দিয়ে বরণ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন এই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে যে ইউনুসের শপথগ্রহণ আদৌ বৈধ ছিল কি না।

Must read

প্রতিবেদন: প্রধান বিচারপতির সই জালিয়াতি করেই কি ক্ষমতায় বসেছেন মহম্মদ ইউনুস। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বাংলাদেশে। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত এক নথির ভিত্তিতে শপথ-জালিয়াতির এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন হাসিনা-পুত্র। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে আওয়ামি লিগ।
২০২৪ সালের অগাস্টে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের জেরে পতন হয়েছিল হাসিনা সরকারের। বাংলাদেশ ছেড়ে তারপর ভারতের আশ্রয়ে আছেন হাসিনা। মুজিবকন্যাকে অপসারণের পর গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচন ছাড়াই বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষপদে আসীন হন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। সেই সময় ইউনুসকে ফুল-মালা দিয়ে বরণ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন এই প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে যে ইউনুসের শপথগ্রহণ আদৌ বৈধ ছিল কি না। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর নথি দিয়ে এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

আরও পড়ুন-অ্যাপলের পর ট্রাম্পের হুমকির মুখে স্যামসাং

সম্প্রতি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করে বলা হয়, হাসিনা অপসারণ পর্বে দেশজুড়ে বেলাগাম হিংসা ও খুনোখুনি থেকে প্রাণ বাঁচাতে একাধিক হেভিওয়েট সহ কয়েকশো মানুষ সেনানিবাসে আশ্রয় নেন। প্রাণহানি ও রক্তপাত রুখতে মানবিকতার খাতিরে কয়েকদিন সেইসব বিপন্ন আশ্রয়প্রার্থীকে সেনানিবাসে রাখার ব্যবস্থা করে বাংলাদেশের সেনা। স্বচ্ছতার খাতিরে আশ্রয়প্রার্থীদের সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার সময় সেনার হেফাজতে আশ্রয়প্রার্থী হিসাবে নাম রয়েছে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিরও। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে যে প্রধান বিচারপতি যদি সপরিবারে সেনার হেফাজতে থাকেন, তাহলে মহম্মদ ইউনুসকে শপথবাক্য কে পাঠ করালেন? তবে কি তাঁর শপথগ্রহণ অবৈধ ছিল? প্রধান বিচারপতির সই জাল করেছিলেন মহম্মদ ইউনুস?
হাসিনার পুত্র এবিষয়ে পোস্টে লিখেছেন, এখন বোঝা যাচ্ছে সেনাবাহিনী কেন এতদিন পর তাদের হেফাজতে থাকা ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রকাশ করল? খেলা বুঝতে হবে। সম্ভবত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সই নকল করে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের মিথ্যা রেফারেন্স তৈরি করেছিল ইউনুস গ্যাং। এই মিথ্যা নথির ভিত্তিতে শপথ নেয় ইউনুস সরকার। সেখানে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের কথা বলা হলেও অন্য কোনও বিচারপতির সই ছিল না। এবং তারা বিচারপতির বাড়িতে গিয়েছে, এই খবরও প্রচার করা হয়। অথচ শপথের সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও এনায়েতুর রহিম সেনাবাহিনীর হেফাজতে ছিলেন, যা কেউ জানত না। ধন্যবাদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে- তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে এই গোপন সত্য সামনে আনার জন্য! ইউনুস সরকারের শপথগ্রহণ যে অবৈধ তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
এদিকে মিটিং-মিছিল করে ইউনুস সরকারের কুকীর্তি ফাঁসের আর্জি জানিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক অডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, কী চলছে দেশে? এখন কেন কেউ কিছু বলছেন না, লিখছেন না? আমি কারওর কণ্ঠরোধ করিনি। তখন তো সবাই যেমন ইচ্ছা লিখতে পারত। আজ বাংলাদেশে কারা আছে? জঙ্গি-সন্ত্রাসী গ্রুপ। অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ৯০ হাজার কোটি টাকা শেয়ার মার্কেট থেকে চলে গিয়েছে। কে টাকা নিয়ে গেল? সাংবাদিকরা লিখছেন না কেন? সত্যি কথা লিখছেন না কেন? এখনকার বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অর্থ জঙ্গিদের শাসন। হাসিনার হুঁশিয়ারি, প্রতিটি অপমান ও অপবাদের হিসাব নেব। আল্লা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের জন্য কিছু করার জন্যই। মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের টাকা পাচার করেছেন। বাংলাদেশের উপদেষ্টাদের সকলেই প্রায় বিদেশি নাগরিক। তাদের সব হিসাব বের করা হবে।

Latest article