প্রতিবেদন : বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন রাষ্ট্রীয় লোক দলের প্রধান জয়ন্ত চৌধুরী। শনিবার সপার জোট শরিক আরএলডি (RDL) নেতা বলেন, বিজেপি বুঝতে পারছে উত্তরপ্রদেশের শাসন ক্ষমতা আর তাদের পক্ষে ধরে রাখা সম্ভব নয়। সে কারণেই ওরা নানাভাবে আমাদের প্রলোভন দেখাচ্ছে। কিন্তু কোনওভাবেই আমরা সেই প্রলোভনের ফাঁদে পা দেব না। অমিত শাহ যতই দরজা খোলা রাখুন না কেন সেই দরজা দিয়ে আমরা কেউ প্রবেশ করব না।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উত্তরপ্রদেশের প্রচারে এসে বলেছিলেন, সকলের জন্যই তাঁদের দরজা খোলা আছে। মানুষ ভুল করতেই পারে। জাঠ নেতা জয়ন্ত চৌধুরী ভুল জোটসঙ্গী বেছেছেন। তাঁর উচিত যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এভাবেই শাহ সরাসরি জয়ন্ত চৌধুরী ও তাঁর দল আরএলডিকে বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত করার কথা বলেছেন। শাহর এই মন্তব্য নিয়েই শনিবার মুখ খোলেন জয়ন্ত চৌধুরী।
আরএলডি (RDL) প্রধান বলেন, আসলে অমিত শাহ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি এমন একটা ভাব করছেন যেন বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলে আমি এবং আমার দল বিজেপিতে যোগ দেব। আসলে অমিত শাহ বুঝতে পেরেছেন, এবার সপা আর আরএলডি জোটকেই মুসলিম এবং কৃষকরা উজাড় করে ভোট দেবেন। তাই সেই ভোট আটকাতেই অমিত শাহ এক কৌশলী চাল চেলেছেন। ওঁদের উদ্দেশ্য মানুষের মনে সংশয় ও বিভ্রান্তি তৈরি করা। অমিত শাহ ভাবছেন, তাঁর কৌশলী চালে মুসলিম বা কৃষক সম্প্রদায় ভুল বুঝে আমাদের ভোট না দিলে সেই ভোট পড়বে বহুজন সমাজ পার্টি বা এআইএমআইএমে। ফলে মুসলিম ভোট ভাগ হয়ে যাবে। সেই সুযোগে বাজিমাত করবে বিজেপি। কিন্তু এই চাল কাজে আসবে না।
আরও পড়ুন – গোয়ায় নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, কর্মসংস্থানে জোর
কৃষক, মুসলিম, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষ সকলেই বুঝে গিয়েছেন বিজেপি কী জিনিস। আসলে শাহ চেষ্টা করছেন উত্তরপ্রদেশে জাঠদের বিচ্ছিন্ন করতে। যেমনটা তিনি হরিয়ানায় করেছেন। কিন্তু আমি প্রাণ থাকতে এটা হতে দেব না। আমি সকলের সামনে এটা লিখে দেব যে, বিধানসভা নির্বাচনের পরে আমি কোনওদিনই বিজেপির সঙ্গে যোগ দেব না। আমি যদি কোনওদিন বিজেপিতে যাই তবে আমার এই দল শেষ হয়ে যাবে।
একইসঙ্গে জয়ন্ত বলেন, আমার বাবা অজিত চৌধুরীর সঙ্গেও বিজেপি খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। বাবার প্রতি বিজেপির আচরণ আমাকে একটা শিক্ষা দিয়েছে। বিজেপি আগের নির্বাচনে রাজ্যের কৃষকদের উন্নতির জন্য অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে কিছুই করেনি। তাই এই নির্বাচন হল দেশের কৃষকদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পরেই আরএলডি জাতীয় দলে পরিণত হবে। আগামী দিনে রাজস্থান, হরিয়ানা-সহ বিভিন্ন রাজ্যেও তার দল লড়াই করবে বলে জয়ন্ত জানান।