সংবাদদাতা, সিউড়ি : গত বিধানসভা ভোটে জিতে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাশিল্প গড়ে উঠবে বীরভূমের মাটিতে। সেই ঘোষণার পরেই রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রে রে করে ময়দানে নেমে পড়েছিল ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই কয়লাশিল্পকে গলা টিপে মাকতে। কিন্তু রাম-বামেদের সমস্ত ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আড়াই বছর পর দেউচা পাঁচামির কয়লাশিল্প নিয়ে বড় সুখবর দিলেন বীরভূমের জেলাশাসক। তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যেই দেউচায় দেওয়ানগঞ্জ হরিণসিংহাতে প্রাথমিক কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হবে। কয়লাশিল্প বাস্তবায়িত করতে যাঁরা নিজেদের পৈত্রিক ভিটে ছাড়তে ছেড়ে জমি দিয়েছেন, তাঁদের পুনর্বাসনের কাজও দ্রুত শুরু হচ্ছে। কয়লাশিল্প প্রকল্পের আওতায় থাকা মথুরা পাহাড়ি প্রাথমিক স্কুলটিও অন্যত্র তৈরি করা হবে। নতুন বিদ্যালয় ভবনের জন্য জমি চিহ্নিত হয়েছে, দ্রুত ভবন নির্মাণকাজ শুরু হবে। সরকারি যে খাস জমিতে কয়লা উত্তোলনের কাজ হবে সেখানে বেশ কিছু দামি গাছ রয়েছে, সেগুলিকে না কেটে গোড়া সমেত তুলে অন্যত্র বসানো হবে।
আরও পড়ুন-ধোনির সঙ্গে কথা বলি না : হরভজন
জেলা সভাধিপতি ফইজুল হক জানান, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থায় বিরাট সাফল্য এনে দিয়েছেন। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাশিস্প বীরভূমের মাটিতে গড়ে ওঠায় কয়েক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পরোক্ষভাবে আরও বেশ কয়েক লক্ষ মানুষ নতুন জীবন জীবিকা পেয়ে বেঁচে থাকবেন। এলাকার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সরকারকে জমি তুলে দিয়েছেন যাতে কয়লাশিল্প বাস্তবায়িত হয়। যেসব পরিবার জমি দিয়েছে তাদের পরিবার-কিছু একজনকে সরকারি চাকরি এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক প্যাকেজ দিয়ে মানুষের কাছে জমি কিনেছেন। বাম সরকার সিঙ্গুরে মানুষের কাছ থেকে এভাবে জমি কিনলে ওখানে টাটার কারখানা গড়ে উঠত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিরোধী দলগুলোর শেখা উচিত কীভাবে ধৈর্য ধরে মানুষকে বুঝিয়ে সঙ্গে নিয়ে শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা যায়। কয়লাশিল্পর কথা ঘোষণার পরেই বিজেপি-সিপিএম সবরকমভাবে চেষ্টা করেছিল কয়লাশিল্প কোনওভাবেই যাতে বাস্তবায়িত না হয়। কিন্তু সেটা হয়েছে কারণ বীরভূমের মানুষ তাঁর উপর আস্থা এবং ভরসা দুটোই রাখেন।