প্রতিবেদন : ডানা নিয়ে ব্যস্ততার মাঝে চলছে মনোনয়ন (Nomination) পর্বও। বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার দলীয় কর্মী-সমর্থক সঙ্গে নিয়ে মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় হাজরা।
আরও পড়ুন-সুন্দরবনে ল্যান্ডফলের আগেই ৬৫ জন অন্তঃসত্ত্বার সুরক্ষায় তৎপর প্রশাসন
এদিন সকালে মেদিনীপুর দেওয়ান বাবার চক কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে সহধর্মিণীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। বিদ্যাসাগর হল থেকে কয়েক হাজার দলীয় কর্মী ও সমর্থকের সঙ্গে মিছিল করে বটতলা কালীমন্দির, কেরানিতলা হয়ে মহকুমা শাসকের দফতর পৌঁছান। একেবারে রঙিন বেলুনে সুসজ্জিত হয়ে বাজনা, ঢাক ও ঢোলকের মধ্য দিয়ে মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। মহকুমা শাসকের দফতরে যাওয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সারা বছর পড়াশোনা করলে পরীক্ষার আগে যেমন রাত জেগে পড়তে হয় না, ঠিক তেমনি ৩৬৫ দিন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সরকারের উন্নয়ন পৌঁছে দিলে ভোটের আগে নতুন করে প্রচারের দরকার হয় না তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, কেন্দ্রের সরকার ১০ বছরে কী উন্নয়ন করেছে মানুষ তা দেখেছে, আর রাজ্য সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রত্যেকটি মানুষের বাড়ি বাড়ি উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছে। তাই মানুষ দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে। রাজ্যজুড়ে একজন নেত্রী মানুষের পাশে সব সময় উন্নয়ন ও বিভিন্ন দুর্ভোগে পাশে থেকেছেন। তিনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর আশীর্বাদধন্য প্রার্থীকে মানুষ উন্নয়নের স্বার্থে মেদিনীপুরে আবারও জয়যুক্ত করবেন। সহধর্মিণীকে সঙ্গে নিয়েই এদিন মহকুমা শাসকের দফতরে প্রবেশ করেন তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা। আরজি কর ইস্যু কোনও প্রভাব ফেলবে না মেদিনীপুরের উপনির্বাচনে, এমনটাই আত্মবিশ্বাসী শাসকদলের প্রার্থী। তিনি বলেন, মেদিনীপুরের মানুষ যথেষ্ট বোঝেন, ১৩ নভেম্বর কোথায় ভোটটা দিতে হবে সেটা তাঁরা ঠিক করে নিয়েছেন। আপনারা আগামী ১৩ নভেম্বর এবং ২৩ নভেম্বর মানুষের উচ্ছ্বাস দেখতে পাবেন সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে রয়েছে, সেটা সময়ের অপেক্ষা। ডানার কারণে আকাশের মুখ ভার। দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রান্তে। এর জেরে কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে প্রচারের কাজ। তবুও এসব উপেক্ষা করেই রাস্তায় রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা।