সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : প্রতীচী জমির উপর বিশ্বভারতীর কোনও বিতর্কিত দাবি আদৌ ধোপে টেকে না। তাই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তাঁকে উচ্ছেদের যে কোনও প্রক্রিয়া আইনবিরুদ্ধ। আইনি যুক্তি দিয়ে বিশ্বভারতীর যুগ্ম রেজিস্ট্রার ও এস্টেট অফিসারের নামে কড়া চিঠি দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)।
উচ্ছেদ নোটিশের পরে এবার বিদেশ থেকে ই-মেল মারফত উত্তর দিলেন তিনি৷ এমনকী প্রতীচী বাড়ির জমির আইনশৃঙ্খলা ও শান্তিরক্ষার নির্দেশ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়েছেন, একথাও বিশ্বভারতীকে স্মরণ করিয়ে দেন। অমর্ত্য (Amartya Sen) এখন বিদেশে। তাঁর শারীরিক অবস্থাও ভাল নয়। অথচ তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রতীচী বেদখল হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় বোলপুর মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ করেন দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা গীতিকণ্ঠ মজুমদার। সেই মোতাবেক মহকুমা শাসকের এজলাসে শুরু হয়েছে মামলা। ম্যাজিস্ট্রেট শান্তিনিকেতন থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন, অমর্ত্যর বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে। এরপরেই তড়িঘড়ি অমর্ত্যর বাড়ির দেওয়ালে নোটিশ লটকায় বিশ্বভারতী। নোটিশে ১৯ এপ্রিল কার্যত উচ্ছেদের হুঁশিয়ারিই দেওয়া হয়। এরপরেই অধ্যাপক সেন গত ১৭ এপ্রিল বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচিব ও সম্পত্তি আধিকারিককে চিঠি দিলেন৷ জানিয়েছেন, তিনি জুন মাসে শান্তিনিকেতন ফিরবেন। এর পরও হাল ছাড়ছেন না উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর ঘোষণা, ১৯ তারিখ উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে তারা।
আরও পড়ুন-সানস্ট্রোকের চিকিৎসায় প্রস্তুত রাজ্য