নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করলে ধর্নায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ-নোটিশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। সিউড়ি জেলা আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন নোবেলজয়ীর আইনজীবী। আগামী ১৫ মে সেই মামলার শুনানি। প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি, প্রতীচীর গেটে নোটিশ সাঁটিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ৬ মে’র মধ্যে অমর্ত্য সেন জমি না ছাড়লে সরাসরি উচ্ছেদ করা হবে। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তাদের ১৩ ডেসিমল জমি অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর মধ্যে ঢুকে রয়েছে। এই মর্মে গত ১৪ এপ্রিল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বাড়িতে নোটিশ ঝোলায় বিশ্বভারতী। এদিকে, নোবেলজয়ীর পাল্টা দাবি, প্রতীচীর জমি তাঁর বাবা লিজ নিয়েছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি তা ভোগ করছেন। শুধু তাই নয়, বিশ্বভারতীর সঙ্গে তাঁদের একটি পারিবারিক সম্পর্ক ও নাড়ির টান রয়েছে। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহযোগী, আচার্য ক্ষিতিমোহন সেনের নাতি। তাঁর নাম রেখেছিলেন স্বয়ং কবিগুরু। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধেই জমি জবরদখলের অভিযোগ তুলে উচ্ছেদের নোটিশ ঝুলিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে, অমর্ত্য সেনের মতো বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এমন আচরণে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। ইতিমধ্যেই নিন্দায় সরব হয়েছেন বিদ্বজ্জনেরা। সভা করে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেন বিদ্বজ্জনরা। অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের আচরণের তীব্র নিন্দা করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: উসকানিমূলক মন্তব্য, অমিত শাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের কর্নাটকে