সংবাদদাতা, সিউড়ি : নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) পাঠানো বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের নোটিশে স্থগিতাদেশ দিল সিউড়ি জেলা আদালত। একই সঙ্গে কিসের ভিত্তিতে এই নোটিশ তা আদালতে নথি পেশ করে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয় বিশ্বভারতীকে। এই নোটিশের উপর আগেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৬ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। ততদিন ‘প্রতীচী’র জমি খালি করতে পারবে না বিশ্বভারতী। অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) তাঁর শান্তিনিকেতনের ‘প্রতীচী’ বাড়িতে ১৩ শতক জমি দখল করে রেখেছেন, এই অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক সেনকে জমি খালি করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে পরপর ৪টি চিঠি দেয়। পরে জমি খালি করার সময়সীমাও বেঁধে দিয়ে ‘প্রতীচী’র গেটে নোটিশ লাগিয়ে দেয়। প্রয়াত পিতা আশুতোষ সেনের উইল অনুযায়ী সম্পূর্ণ জমি (১.৩৮ একর) পুত্র অমর্ত্য সেনের। এই দাবি করে সিউড়ি জেলা আদালত ও পরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য সেন। কলকাতা হাইকোর্ট বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের নোটিশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ-সহ মামলাটি নিম্ন আদালতকে শোনার নির্দেশ দেয়। সেইমতো সিউড়ি জেলা আদালতে মামলাটি চলছিল৷ মঙ্গলবার সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক বিশ্বভারতীর উচ্ছেদের নোটিশে স্থগিতাদেশ দেন। অর্থাৎ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জমি খালি করতে পারবেন না। ১৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি ফের আদালতে উঠবে। ততদিন এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে। অমর্ত্য সেনের আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এতদিন দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে মহামান্য আদালত আপাতত স্থগিতাদেশের রায় দিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বভারতীর কাছে নথি চাওয়া হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর ফের শুনানি পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী।’’
আরও পড়ুন- দিনভর নাটকীয় কাণ্ড সাসপেন্ড নন ডেরেক