প্রতিবেদন : কর্মসংস্থান ও শিল্প পরিকাঠামো বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিরাট সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। নতুন নতুন শিল্প ইউনিট স্থাপনের জন্য রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। একই সঙ্গে অনলাইন কেনাকাটার বিপুল ঝোঁক বাড়ছে মানুষের। সে-কারণে অনলাইন বিপণন সংস্থাগুলির মালপত্র রাখার জন্য জায়গার চাহিদাও বাড়ছে। এই দুই লক্ষ্য-পূরণে বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা সামাল দিতে রাজ্য সরকার বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আরও একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট অর্থাৎ ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-উন্নয়নকে সামনে রেখে শুক্রবার ভার্চুয়ালে অভিষেক, রবিবার ১ লক্ষ নেতা-কর্মী নিয়ে মেগা বৈঠক
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ-চাহিদার কথা মাথায় রেখে আগেই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছিল। সেই দরপত্র প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে জিন্দল গোষ্ঠীকে দিয়ে পিপিপি মডেলে বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার প্রস্তাবে বুধবার মন্ত্রিসভা সিলমোহর দিল।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি ইউনিট ৫.৮১ টাকা দরে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে জেএসডব্লিউ এনার্জি। ওই সংস্থার হাত ধরেই রাজ্যে ওই নিউ সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ে উঠবে। প্রকল্পের আওতায় দুটি ইউনিট থাকবে, প্রতিটির ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াট করে। প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২৫ বছর। তবে ভবিষ্যতে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়লে অতিরিক্ত ৫ বছর মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগও রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে গত সপ্তাহে বিজনেস কনক্লেভে দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী নাহার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড হুগলির সিঙ্গুরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ওয়্যারহাউস গড়তে ১১.৩৫ একর জমি দেওয়া হচ্ছে। ওই জমিতেই আমাজন ও ফ্লিপকার্টের নতুন ওয়্যারহাউস গড়ে উঠবে। সেখানে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান হবে।

