প্রতিবেদন : উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার আগে থেকেই প্রস্তুতিতে নেমেছিল দল। আর প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে টানা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ৬ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীরা। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে প্রচারে ঝড় তুলে দিয়েছেন তাঁরা। সঙ্গে পেয়েছেন আমজনতার প্রবল উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা। উত্তরের সিতাই, মাদারিহাট-সহ দক্ষিণবঙ্গের নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর ও তালডাংরাতে সকাল থেকে রাত টানা প্রচার করছেন দলীয় প্রার্থীরা। মিছিল, পথসভা-সহ বাড়ি বাড়ি প্রচার— কোনও কিছুই বাদ রাখছেন না প্রার্থীরা। এর সঙ্গে বাড়তি পাওনা সারা বছর মানুষের পাশে থেকে তাঁদের সুখ-দুঃখের খবর রাখা। এই ধরনের নিবিড় জনসংযোগ ভোটের ময়দানে বাড়তি সুবিধে দিচ্ছে তৃণমূলকে। বিরোধীদের যাবতীয় কুৎসা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জবাব দেবে মানুষই। এই বিশ্বাস ও ভরসা রয়েছে দলের।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
শনিবার সকাল থেকেই প্রচারে ছিলেন নৈহাটির প্রার্থী সনৎ দে। এদিন সকালে তিনি নৈহাটি টাউনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেন। সঙ্গে তিনি ভোট প্রচার সারেন। ভোট প্রচারের সঙ্গে তিনি নৈহাটির জনগণের মধ্যে দৃঢ় জনসংযোগ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছেন। প্রচারাভিযানকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি প্রবীণ নাগরিক, মহিলাদের এবং স্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মাতেন। তাঁদের আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।
রাজনীতির আঙিনায় ফের একবার সৌজন্যের ছবি দেখল সাধারণ মানুষ। ভোট প্রচারে বেরিয়ে মাদারিহাট উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী আশীর্বাদ নিলেন প্রাক্তন বাম বিধায়িকা কুমারী কুজুরের। আগামী ১৩ নভেম্বর মাদারিহাট বিধানসভার উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। মাদারিহাট বিধানসভা জেতার লক্ষ্যে দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টপ্পো। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রচারের তেজ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বেশিরভাগ দিনে প্রচারে অন্যদের পাশাপাশি জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বড়াইককে সঙ্গে পাচ্ছেন তিনি। জেলা সভাপতির উপস্থিতি তাঁকে অতিরিক্ত ভরসা জোগাছে। চা-বাগান, বনবস্তি, পাহাড়ের পাদদেশ কোনও জায়গাই বাদ যাচ্ছে না প্রচারের তালিকা থেকে। শনিবার জয়প্রকাশ প্রচার করতে যান হান্টাপাড়া এলাকায়। সেখানে প্রচার শুরু করার আগে তিনি সদলবলে পৌঁছে যান প্রাক্তন আরএসপি বিধায়িকা কুমারী কুজুরের বাড়িতে। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এই প্রাক্তন বিধায়িকা বাড়ির বাইরে বিশেষ একটা বের হন না। তাঁর বাড়িতে পৌঁছে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন জয়প্রকাশ।
আরও পড়ুন-কেন পালিত হয় ভূত চতুর্দশী?
সিতাই উপনির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার-বৈঠক হল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে। শৌলমারি এলাকায় এই সভা করেছেন জেলাপরিষদ কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন। নুর আলম বলেন, জেলাপরিষদ ও গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে গ্রামে সেকথা আরও বেশি করে প্রচারে তুলে ধরতে হবে। প্রার্থী সঙ্গীতা রায় দিনরাত এক করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। মেদিনীপুর ও তালডাংরাতেও জোরকদমে চলছে প্রচার।