কেউ এসেছেন বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে কেউ আবার বীরভূমের তারাপীঠ থেকে। বছরভর চাষ-আবাদ বা অন্যকিছু করে সংসার চালান তারা। পুজোর কয়েকটি দিন বাড়তি কিছু উপার্জনের জন্য তারা ঢাকি। আপাতত তাদের ঠিকানা শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর। কেউ দল নিয়ে বাজাচ্ছেন কুরকুরে।
পুজো মানেই ঢাক। আর ঢাক ছাড়া মায়ের আরাধনা সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু করোনা আবহে পাল্টে গিয়েছে অনেক স্বাভাবিক চিত্র।
আরও পড়ুন-ফিলাডেলফিয়ায় ‘ঘরোয়া’ পুজো এবার একদিনেই শেষ
শিয়ালদহ চত্বরে নেই সেই চেনা ছবি। মহামারি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও অবস্থা ফেরেনি ঢাকিদের। বাংলার বিভিন্ন জেলা, বিভিন্ন গ্রামে থাকা ঢাকিরা দল বেঁধে তৃতীয়া-চতুর্থী ও পঞ্চমীতে হাজির হত শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে। সেখানেই হয় বায়না। সেখান থেকেই শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন পুজো কমিটি তাঁদের নিয়ে যায় মন্ডপে মন্ডপে। কিন্তু এ বছরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। তার ওপর আবার চলছে না লোকাল ট্রেন। পুজোতে আয়োজন যৎসামান্য, তাই ঢাকিদের বদলে অনেকে সিডি বা অনলাইনেই কাজ সেরে ফেলছে।
অন্যদিকে, বায়না পেলেও কলকাতায় পৌঁচ্ছতে পারছেন না এক শ্রেণীর ঢাকিরা। কারণ গাড়ি করে আসতে যেতে যা খরচ, তা দিতে গেলে পকেট থেকেই টাকা যাবে। আয় কিছুই হবে না। তাই ম্লান মুখেই বাড়িতে দিন কাটছে। কেউ আবার এসে পৌঁছলেও মুখে নেই সেই পরিচিত হাসি।