কাবুল: প্রায় গোটা আফগানিস্তান তালিবান জঙ্গিদের দখলে। তার মধ্যে উত্তর আফগানিস্তানে তালিবানরা নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের কড়া প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। বুধবার নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের অন্যতম কমান্ডার আমির আকমল সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, তাঁরা তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য তৈরি আছেন। বিনা যুদ্ধে তাঁরা তালিবানদের কাছে কখনোই বশ্যতা স্বীকার করবেন না। তালিবানদের প্রতিরোধ করার মত সব ধরনের ব্যবস্থাও তাঁরা নিয়েছেন।
আকমল এদিন আরও বলেন, তাঁদের প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে উঠেছে মূলত তরুণ সম্প্রদায়, সেনা এবং প্রাক্তন জেহাদি কমান্ডারদের নিয়ে। যাদের কেউই তালিবানদের শাসন কোনওভাবেই মেনে নিতে রাজি নয়। তালিবানের নৃশংসতা, অত্যাচার কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। তাই যুদ্ধের জন্য তাঁরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছেন। তাঁরা দেশে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং সভ্যসমাজ গড়ে তুলতে চান। সে কারণেই তাঁরা তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধ করবেন।
আরও পড়ুন : সিপিএম মুখ্যমন্ত্রীর নাতির কণ্ঠে নিপীড়িত মানুষের গান
তালিবান দেশের অধিকাংশ অঞ্চল দখল করে নিলেও পঞ্জশির এখনো তাদের অধরাই রয়ে গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে তারা পঞ্জশিরের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ সেনা পাঠালেও এখনও তারা নিজেদের দখলে আনতে পারেনি। পঞ্জশিরের ভৌগলিক অবস্থানও তালিবানদের কাছে এই প্রদেশ জয় করা বেশ কিছুটা কঠিন করে তুলেছে। পঞ্জশির দখলে মরিয়া তালিবানরা ইতিমধ্যেই সেখানে খাদ্য-পানীয় পৌঁছতে প্রবল বাধা দিচ্ছে। পঞ্জশিরে তালিবানদের ঠেকাতে ইতিমধ্যেই দেশের বহু প্রাক্তন সেনা নর্দান অ্যালায়েন্সের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন : চোরাশিকার, কাঠপাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের, বনাঞ্চল থাকবে গোয়েন্দা নজরে
নিজের নাম গোপন করে দেশের এক প্রাক্তন সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, আফগান সরকারের সেনাবাহিনী তালিবানদের বাধা দিতে পারেনি। সে কারণেই তিনি এবং আরও অনেকে নর্দান অ্যালায়েন্সে যোগ দিয়েছেন। নর্দান অ্যালায়েন্স তালিবানদের ঠেকানোর কাজ করবে। যদিও দেশের প্রাক্তন সহকারি প্রেসিডেন্ট আমারুল্লা সালেহ জানিয়েছেন, তালিবানরা পঞ্জশিরের একাংশের দখল নিয়েছে।
সালেহ আরও বলেছেন, তাঁরা যুদ্ধ নয়, শান্তি চান। এজন্য তাঁরা তালিবানদের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তাতেও যেতে পারেন। অর্থাৎ তালিবানের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে চলতি সংকট নিরসন করার চেষ্টা করতে পারেন। তবে শেষপর্যন্ত পঞ্জশিরের কী হবে এখন তারই অপেক্ষা।