সংবাদদাতা, হুগলি : কথায় আছে, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। সেই আপ্তবাক্যই সত্যি করে হাতে পায়ে ফুটবল নিয়ে নাচিয়ে সংসার চালাচ্ছেন মাজদিয়ার অমিত বিশ্বাস। শত শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও প্রতিভার জোরে জয় করছেন মানুষের মন। সংসার সামলাতে ফুটবলের জাগলিং দেখিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশেষভাবে সক্ষম অমিত। আর তাতেই যা পারিশ্রমিক মিলছে, তা দিয়ে চলছে সংসার। এ যেন এক হার না মানার গল্প!
আরও পড়ুন-বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব
নদিয়ার মাজদিয়ার বাসিন্দা বছর পঁচিশের অমিত বিশেষভাবে সক্ষম। জন্ম থেকেই তিনি মূক ও বধির। হাঁটাচলার অঙ্গভঙ্গিতেও রয়েছে সেই অস্বাভাবিকতা। তবে একবার ফুটবল পায়ে পড়লে গোটা দিন সেই ফুটবলকে পায়ে নাচাতে পারেন তিনি। সেই প্রতিভাই এখন তাঁর রোজগারের পথ। জাগলিং দেখিয়েই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশেষভাবে সক্ষম অমিত। তবে অমিতের সর্বক্ষণের সঙ্গী তাঁর মা।
ছোটবেলায় পড়াশোনা সেভাবে হয়ে ওঠেনি। বাবা পেশায় তাঁতি। দুই বোন, এক ভাইকে নিয়ে অভাবের সংসার। সেই সংসারেরই হাল ধরেছেন বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে। ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল ফুটবলার হওয়ার জন্য। তবে পয়সার অভাবে কোথাও প্রশিক্ষণ নিতে পারেননি। তাই একা একাই ফুটবলের নানান জাগলিং শিখেছেন অমিত। প্রথমে দু’-একটা জায়গা থেকে ডাক আসত। এখন বিভিন্ন জেলা থেকে ডাক আসে জাগলিং দেখানোর জন্য।
আরও পড়ুন-মার্কিন নাগরিকদের উপরে হামলা হতে পারে আচমকাই, পাকিস্তানে না যাওয়ার পরামর্শ
এ-বিষয়ে অমিতের মা সুলতা বিশ্বাস জানান, অভাবের কারণে ছেলেকে সমর্থন করতে পারেননি। ছেলে নিজের প্রতিভার জোরে এগিয়ে চলেছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে এখন তাঁর ডাক পড়ে জাগলিং দেখানোর জন্য। বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও তিনি নিরন্তর চেষ্টা করেন পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর।