প্রতিবেদন : কেন্দ্রের নীতির কারণে দেশছাড়া একের পর এক শিল্প সংস্থা। মোদি সরকারের সাত বছরের শাসনকালে প্রায় ৩৫ হাজার শিল্পপতি দেশছাড়া। দেশে মোদি সরকারের সৃষ্ট ‘ভয়ের বাতাবরণ’-এর কারণেই দেশছাড়া হচ্ছে বাণিজ্য লক্ষ্মী। এবার এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জবাবদিহি তলব করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। শিল্প সংস্থার দেশত্যাগ নিয়ে সংসদে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার একের পর এক ট্যুইটে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি মোদির জমানায় কীভাবে নষ্ট হয়েছে পরিসংখ্যান-সহ তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দেশের অধিকাংশ নতুন উদ্যোগপতি দেশ ছেড়ে গিয়েছেন। এই সাত বছরে প্রায় ৩৫ হাজার উদ্যোগপতি দেশ ছেড়ে গিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। অমিত বলেন, দেশে যেভাবে একের পর এক উদ্যোগপতি অন্য দেশে চলে যাচ্ছেন তার কারণ ব্যাখ্যা করুন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদির জমানাতেই কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা জানতে চেয়েছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রচুর পরিমাণে সম্পদ নিয়ে তাঁরা বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৭০০০ উদ্যোগপতি দেশ ছেড়েছেন ২০১৯ সালে আর ৫০০০ উদ্যোগপতি দেশ ছেড়েছেন ২০২০ সালে।
আরও পড়ুন-গোসাবায় প্রচারে মানুষের ঢল
অমিত মিত্র অভিযোগ করেছেন, উদ্যোগপতিরা ভারতে ব্যবসা করতে ভয় পাচ্ছেন। সেকারণেই তাঁরা এখান থেকে চলে যাচ্ছেন। দেশের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে মোদি সরকারের আর্থিক নীতি। এভাবে চলতে থাকলে তা দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে না বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশবিরোধী কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন অমিত মিত্র। করোনা পরিস্থিতির জেরে দেশের অর্থনীিত যাকে বলে তলানিতে এসে ঠেকেছে। কয়েকদিন আগেই আন্তর্জাতিক ক্ষুধা সূচক প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে ভারতের অবস্থা বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের থেকেও খারাপ। গত এক বছরে যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছেন তাতে ক্ষুধা মেটানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষের। অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ করেছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার অর্থমন্ত্রী।