প্রতিবেদন : ভয়ঙ্কর এবং ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটল নাগাল্যান্ডে। রক্তাক্ত উত্তর-পূর্বের রাজ্য। অসম রাইফেলসের ভুলের খেসারত হিসেবে প্রাণ গেল ১৩ জন গ্রামবাসীর। শনিবার সন্ধ্যায় সন্ত্রাস দমন অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে নাগাল্যান্ডের ওটিংয়ে ১২ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। মারা গিয়েছে এক জওয়ানও। গ্রামটি মায়ানমার সীমান্তে। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও দায়সারাভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তদন্তের কথাও জানিয়েছেন। অসম রাইফেলস দুঃখ প্রকাশও করেছে। কিন্তু ঘটনার জেরে বিক্ষোভ এবং প্রতিরোধের মুখে পড়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুন-সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে অভিষেক
জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাস রুখতে ওটিং রোডে অভিযান চালাচ্ছিল। শনিবার সন্ধের সময় একটি ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিল গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের সন্ত্রাসবাদী ভেবে নিরাপত্তা বাহিনী বেপরোয়া গুলি চালাতে শুরু করে। ওই ভ্যানের ভিতরেই রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহগুলিকে ফেলে রেখে নিরাপত্তা বাহিনী চলে যায়। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় গ্রামবাসীরা তাঁদের পড়শিদের খুঁজতে বের হন। সেখানে গিয়ে ভ্যানের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন ১২ জনকে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। নিরাপত্তা বাহিনীকে পেলে পাল্টা আক্রমণ হলে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। বিক্ষোভ প্রতিরোধ সামাল দিতে নাজেহাল হয় পুলিশ। জ্বালিয়ে দেওয়া নিরাপত্তা বাহিনীর ৩টি গাড়ি।
আরও পড়ুন-‘উদার’ জাওয়াদ, নিট ফল বৃষ্টি
ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, তদন্ত চাই। সুবিচার চাই। তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও। সকলের বক্তব্য, সন্ত্রাস দমনের নামে নিরাপত্তা বাহিনী নিরীহ মানুষকে মারছে। চলছে গণহত্যা। অবস্থা এতটাই অগ্নিগর্ভ যে এলাকার ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু কী করে এত বড় ভুল, তার জবাব মেলেনি।