প্রতিবেদন : রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও পরিকাঠামো নিয়ে বিজেপি ছুতোয়-নাতায় যখন-তখন সরব হলেও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন তাদের সরকারের অধীন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের সমীক্ষাই সেরা বলে মেনে নিল পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলির অপারেশন থিয়েটারের পরিকাঠামো ও প্রসূতিজনিত চিকিৎসা পরিষেবাকে। এ বছরের ১১ মার্চ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত চলা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ ‘লক্ষ্য’ সমীক্ষায় ৮০ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে যোগ্যতা মান পেরিয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ৮ হাসপাতাল।
আরও পড়ুন-সাতদিন চলবে না ইন্টারসিটি, চরম দুর্ভোগে রায়গঞ্জবাসী
এর মধ্যে ৯৬.৮৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে সবার সেরা হয়েছে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল। ফলে কেন্দ্রের তরফে এই হাসপাতাল তিন বছরে ৪ লক্ষ করে মোট ১২ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কার পাবে। ন্যাশনাল হেলথ সিস্টেম রিসোর্স সেন্টারের তরফে রাজ্যের ছোট-বড় সব সরকারি হাসপাতালকে নিয়ে চলে এই সমীক্ষা। সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করে রাজ্যের মহকুমা, জেলা, সুপার স্পেশালিটি এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলি। মূলত হাসপাতালের লেবার রুমের পরিকাঠামো ও প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার পদ্ধতির মান নিয়ে হয় এই সমীক্ষা। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল দুই বিভাগেই সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে। ৯৪.৯৫ শতাংশ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। ৯৪.১৭ পেয়ে তৃতীয় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল। এছাড়াও সেরাদের তালিকায় রয়েছে মালবাজার মহকুমা হাসপাতাল, বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, প্রজেক্ট করে আমরা রাজ্যে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। রাজ্য অনুমোদন করার পর কেন্দ্র থেকে টিম আসে। তাদের মূল্যায়নে আমরা ৯৭ শতাংশ স্কোর করে সেরার পুরস্কার পাই। এই সাফল্যের পিছনে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। সমস্ত পরিকাঠামো থাকলেও টিমওয়ার্ক ছাড়া কোনও হাসপাতালের পরিষেবাই সেরা হয়ে উঠতে পারে না। আগামী দিনেও পরিষেবার এই ধারা আমরা বজায় রাখব আমাদের এই মহকুমা হাসপাতালে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, তিন মাস ধরে চলা সমীক্ষায় রোগীদের সন্তুষ্টি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মানোন্নয়ন, এলাকা নির্ধারণ এবং দুই বিভাগের পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়া হয়। বাংলার চিকিৎসক মহলের দাবি, সরকারি হাসপাতালগুলি যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার ঢেলে সাজিয়েছে, তাতে এখন বেসরকারি হাসপাতালের দিকে আর ছুটতেই হয় না দুঃস্থ রোগীদের।