দেবর্ষি মজুমদার, বীরভূম : রুক্ষ রাঙামাটি। অল্প বৃষ্টি। যেখানে সোনাঝুরি আর ইউক্যালিপটাসছাড়া অন্যগাছ বাঁচে না। সেখানেই ৩০:৪০ মডেলে আম্রপালি, হিমসাগর বনসৃজন করে তাক লাগিয়ে দিলেন ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শিবাশিস সরকার। এই কাজ কিছুটা মনে করিয়ে দেয় কর্নাটকের তুলসী গৌড়ার প্রচেষ্টাকে। ৩০:৪০ মডেলে রাজ্য সরকার সাম্প্রতিককালে বাঁকুড়ার রুক্ষ মাটিতে সাফল্য পেয়েছে।
আরও পড়ুন : স্টেশনে হকার উচ্ছেদে প্রতিবাদ
এই মডেলে ৩০ ফুট বাই ৪০ ফুট হিসেবে বক্সকাটিং করে গাছ লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি রুক্ষ এলাকা হওয়ায় সাড়ে তিন ফুট করে গর্ত করা হয়েছে বৃষ্টির জল ধরে রাখতে। এই পদ্ধতিতে সাড়ে ছ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে আদিবাসী অধ্যুষিত তালডিহি এবং তফসিলি অধ্যুষিত নবগ্রামে। এখানে ফলের গাছ হওয়া সম্ভবও ছিল না। বিডিও শিবাশিস আম্রপালি, হিমসাগর, আতাগাছ বনবিভাগ থেকে এনে রোপণ করান। মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত প্রকল্পে এই বনসৃজন সম্পূর্ণ হয় গত সেপ্টেম্বরে। তিন-চার বছরের মধ্যেকলমের এই গাছগুলো প্রচুর ফল দেবে। এতে আদিবাসী ও তফসিলিদের যেমন সরকারি খাসজমিতে জঙ্গলের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হল, তেমনি বিকল্প রোজগারের রাস্তাও খুলে দেওয়া হল। এই উদ্যোগ যেমন গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে, তেমনি মাটির উর্বরতাও বাড়বে। বাড়বে বৃষ্টিও। জানান বিডিও শিবাশিস সরকার। বলেন, বনসৃজন এলাকায় কয়েকটি ইঁদারা খোঁড়া হবে। পুকুর আছে। সেখান থেকেও জল দেওয়া হচ্ছে। বনসৃজন ও গ্রামীণ অর্থনীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে পেরে ভাল লাগছে। মহকুমাশাসক দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, খুব ভাল কাজ হয়েছে।