মুম্বই, ২ এপ্রিল : ২০১১ সালের ২ এপ্রিল দিনটি ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। শচীন তেন্ডুলকরের স্বপ্ন, গৌতম গম্ভীরের ধৈর্য, যুবরাজ সিংয়ের লড়াই, মহেন্দ্র সিং ধোনির অসাধারণ ফিনিশিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে হারিয়ে ২৮ বছর পর ওয়ান ডে বিশ্বকাপ (One Day World Cup- India) জিতেছিল ভারত। দেখতে দেখতে ১২ বছর কেটে গিয়েছে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মেন ইন ব্লু’র বিশ্বজয়ের এক যুগ পূর্তি।
প্রতি বছর ২ এপ্রিল এলেই যেন টাইম মেশিনে চড়ে ১২ বছর আগের স্মৃতিতে ডুব দেন সেদিনের কুশীলবরা। ক্রিকেটপ্রেমীরাও ইতিহাস রোমন্থন করে রোমাঞ্চিত হন। শচীনের স্বপ্নপূরণের মায়াবী রাতে বিরাট কোহলির সেই অমর উক্তি আজ যেন লোকগাথা। ‘‘মানুষটা ২১ বছর ধরে গোটা দেশের ভার বয়েছে। এখন সময় আমাদের ওকে কাঁধে চাপিয়ে ঘোরানোর।’’ কিংবদন্তিকে সেরা শ্রদ্ধাঞ্জলি ছিল বিরাটের। বাকিরাও বিরাটকে সঙ্গ দেন।
বিশ্বজয়ের বর্ষপূর্তিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পডকাস্টে এক যুগ আগের সোনালি মুহূর্তের স্মৃতিচারণা করেছেন বিরাট। বলেছেন, ‘‘বেশ মনে করতে পারছি, ফাইনালে সেদিন ব্যাট করতে যাওয়ার সময় চাপটা অনুভব করছিলাম। মাত্র ২০ রানের মধ্যে ২ উইকেট পড়ে গিয়েছে। শচীন পাজি আর বীরু ভাই দু’জনেই আউট হয়ে গিয়েছে। আমি যখন মাঠে ঢুকছি, শচীন পাজি ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় শুধু বলল, পার্টনারশিপ গড়তে হবে। আমরা সেটাই করেছিলাম। আমি আর গৌতম ৯০ রানের পার্টনারশিপ গড়ি। শ্রীলঙ্কার ২৭৪ রান তাড়া করার ভিত গড়া হয়েছিল এই জুটিতেই। এরপর পিছনে তাকাতে হয়নি।’’
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার আর নেই দরকার
১২ বছর পর আবারও ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ (One Day World Cup- India)। ২০১১-র বিশ্বকাপ জয়ী দলের মধ্যে থেকে বিরাট ছাড়া আর কেউ নেই বর্তমান দলে। সেদিনের তরুণ ক্রিকেটার বিরাট এখন ভারতীয় ক্রিকেটের মহীরুহ। অধিনায়ক হিসেবে পারেননি, ব্যাটার বিরাট কি পারবেন ওয়াংখেড়ের সেই রাত ফিরিয়ে আনতে?