ল্যান্ডিং গিয়ার আঁকড়ে বিমানযাত্রা কিশোরের

গুরুতর প্রশ্নের মুখে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা। বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ধরে জড়সড় হয়ে বসে থেকে কাবুল থেকে দিল্লি পৌঁছে গেল ১৩ বছরের এক কিশোর।

Must read

নয়াদিল্লি: গুরুতর প্রশ্নের মুখে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা। বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ধরে জড়সড় হয়ে বসে থেকে কাবুল থেকে দিল্লি পৌঁছে গেল ১৩ বছরের এক কিশোর। পাক্কা ২ ঘণ্টার মারাত্মক ঝুঁকিবহুল এবং দুঃসাহসিক এই সফরের শেষে ওই কিশোর সম্পূর্ণ সুস্থ এবং অক্ষত রইল কীভাবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে গভীর বিস্ময়। কিন্তু তার থেকেও গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কাবুল বিমানবন্দরে নিরাপত্তায় গুরুতর গলদ। কোন উদ্দেশ্যে কিশোরটি এমন কাণ্ড ঘটাল, তা কিন্তু এখনও রহস্যই। প্রশ্ন উঠেছে, একটি ১৩ বছরের নাবালক নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে বিমানে উঠে পড়ল কীভাবে?

আরও পড়ুন-বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূলের

অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার। বেসরকারি বিমান সংস্থা ক্যাম-এয়ারের এই বিমানটি কাবুল ছেড়ে আকাশে উড়েছিল সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেটি অবতরণ করে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। সব যাত্রী নেমে যাওয়ার পরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা দেখতে পান, সংরক্ষিত এলাকার এক কোণে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে কিশোরটি। তাকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে বলে ফেলে সবকিছু। জানায়, কেমন করে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের বোকা বানিয়ে সে উঠে পড়েছিল এই উড়ানে। তার ধারণা ছিল, উড়ানটি যাচ্ছে ইরানে। সবচেয়ে রোমহর্ষক বিষয়, বিমানটির পেছনের ল্যান্ডিং গিয়ারে সে লুকিয়ে পড়ে গুটিসুটি মেরে। লক্ষণীয়, এমন ঘটনা কিন্তু এই প্রথম নয়। ১৯৯৬ সালে দিল্লি থেকে লন্ডনগামী এক বিমানে এভাবেই প্রাণ হাতে সফর করেছিল দুই ভাই। এক ভাইয়ের মৃত্যু হলেও আর এক ভাই কিন্তু বেঁচে গিয়েছিল আশ্চর্যজনকভাবে। কাবুল থেকে বিমানে ওঠা কিশোরের দুঃসাহস এবং অদ্ভুতভাবে বেঁচে যাওয়া যার পর নাই বিস্মিত করেছে বিশেষজ্ঞদের। কেন? বিমান ওড়ার পরেই তার চাকা ঢুকে যায় ভেতরে। বন্ধ হয়ে যায় দরজা। চাকা ভেতরে প্রবেশ করার পরেও যে ফাঁকটুকু থাকে তা গুটিসুটি মেরে বসে থাকার পক্ষেও আদৌ যথেষ্ট নয়। তা ছাড়া বিমান ১০ হাজার ফুট থেকে ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার সময় সেখানকার তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৪০ থেকে ৬০ ডিগ্রি। নেই অক্সিজেনও। এই অবস্থায় কি বেঁচে থাকা আদৌ সম্ভব?

Latest article