প্রতিবেদন : বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড কৈখালিতে। বছরের প্রথম সকালেই আগুন লাগে বিমানবন্দরের কাছে কৈখালি চিড়িয়া মোড়ে একটি রঙের কারখানায়। প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ। নাম কানাইকুমার সাঁতরা। এদিন সকালেই কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায় কারখানাটি থেকে। নিমেষের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি গেঞ্জি কারখানায়।
আরও পড়ুন-কটাক্ষ কল্যাণের
ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের ১৭টি ইঞ্জিন, ঘণ্টা দেড়েকের প্রচেষ্টায় আগুন আয়ত্তে এলেও গেঞ্জি কারখানার আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি দুপুরেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং স্থানীয় বিধায়ক অদিতি মুন্সি। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য তদারকির কাজে নেমে পড়েন। ভেতরে ঢুকতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। দরজা ভেঙে তাঁদের ঢুকতে হয় কারখানার ভেতরে। জলের পাশাপাশি ফোমও ব্যবহার করা হয় আগুন নেভাতে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও নেমে পড়েন।
আরও পড়ুন-সংযত আনন্দ বর্ষবরণে
দমকলের অনুমান, কারখানার ভেতরে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। বিকেলের দিকে কারখানার ভিতর থেকেই উদ্ধার করা হয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। পাশেই বিমানবন্দরের পাঁচিল। পরপর বেশ কয়েকটি কারখানা। স্বাভাবিকভাবেই দমকল কর্মীদের নিতে হয় বিশেষ সতর্কতা। আগুন লাগার সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে।