বসিরহাটে পোস্টার, পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা হতেই বিজেপিতে ক্ষোভ

যদিও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো এই গোষ্ঠীকোন্দলকেও ধামাচাপা দিতে লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছেন বসিরহাটের নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি।

Must read

সংবাদদাতা, বসিরহাট : লাগাতার গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার রাজ্য বিজেপির অন্দরমহল! জেলা ও মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই জেলায়-জেলায় দলের মধ্যেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, কুৎসা ও পোস্টার রাজনীতি। উত্তরে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ, মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে দক্ষিণে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরেও দলের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই মারামারি-চুলোচুলি করে মরছে! বসিরহাট সাংগঠনিক জেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। সেখানে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিজেপির অন্তর্কলহ। নবনিযুক্ত জেলা সভাপতির নামে রবিবার বাদুড়িয়ার দলীয় অফিসে পোস্টার লাগাল বিরোধী গোষ্ঠীর কর্মীরা। সেই পোস্টারে দলের কর্মীদের একাংশ নয়া সভাপতিকে ডাকাত, মিথ্যেবাদী বলে উল্লেখ করল। এতদিনে বিজেপি কর্মীরাই তাদের দল সম্পর্কে প্রকাশ্যে সঠিক এবং যথোপযুক্ত বিশেষণ ব্যবহার করল! বিজেপি দলটা যে আসলেই ঠগ, জোচ্চর, মিথ্যেবাদী ও ডাকাতের দল, তা একপ্রকার স্বীকারই করে নিল দলের নেতা-কর্মীরাই।

আরও পড়ুন-আরও দুই শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে এভারেস্টজয়ী পিয়ালি

যদিও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো এই গোষ্ঠীকোন্দলকেও ধামাচাপা দিতে লাগাতার চেষ্টা চালাচ্ছেন বসিরহাটের নবনিযুক্ত জেলা সভাপতি। পোস্টারে তাঁর নামে ২০২১ সালের ভোটে দলের নামে তোলাবাজিরও অভিযোগ করা হয়েছে। নয়া জেলা সভাপতির নাম নিয়েও চূড়ান্ত মশকরা করা হয় পোস্টারে।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি সেইসব পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলেছে তাঁর অনুগামীরা। তৃণমূলের তরফে বিষয়টিকে হাস্যকর আখ্যা দিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজি আবদুল রহিম। বলেন, কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ, মান-অভিমান থাকতেই পারে। তাই বলে নিজের দলের কর্মীদের অন্য দলের দালাল বলে আখ্যা দেওয়া কোনও জেলা সভাপতি কাজ নয়। বিষয়টা হাস্যকর! আমাকে কেউ পছন্দ না করলে তাকে নোংরা, কুরুচিকর, অশ্লীল কথাবার্তা বলব, এটাই বিজেপির আসল সংস্কৃতি। বাদুড়িয়া ও বসিরহাট তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। তাই বিজেপি দলের অভ্যন্তরে কী হল না হল, তা নিয়ে আমরা কেউই চিন্তিত নই।

Latest article