প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে ডাক্তারদের কর্মবিরতি। চিকিৎসা নিয়ে চিন্তিত হয়েছে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিনা চিকিৎসায় রোগীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই। বন্ধ অস্ত্রোপচার। রাজ্যের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বন্ধ রাখা হয়েছে আপৎকালীন এবং সাধারণ সব বিভাগেই পরিষেবা। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন রোগী এবং তাঁদের পরিজনরা। এমন পরিস্থিতিতে বিনা চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ উঠল বালুরঘাট হাসপাতাল ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অভিযোগ, সময়মতো চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় বালুরঘাট হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
জানা গিয়েছে, আট বছরের ওই শিশুটির নাম শিবম শর্মা, বালুরঘাটের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা। সোমবার ভোরে পরিবারের সঙ্গে পতিরামে শিবমন্দিরে জল ঢালতে গিয়ে টোটোর ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় সে। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ২ ঘণ্টা পর চিকিৎসক আসেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় তার। অপরদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওপিডিতে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার না আসায় মৃত্যু হয় যুবকের। মৃতের নাম পিয়ারুল শেখ (৩৫)। বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙার মহেশপুর এলাকায়। পরিবারের বক্তব্য, পেশেন্টের মুখ দিয়ে রক্ত উঠছিল। প্রথমে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে আউটডোরে চিকিৎসার পর সকাল ৮টায় ভর্তি নেওয়া হয়। ডাক্তার আসেন ১২টায়। ফলে রোগীর মৃত্যু হয়। কর্মবিরতির ফলে ভোগান্তি হচ্ছে চিকিৎসাধীন রোগী-সহ গ্রাম থেকে চিকিৎসার জন্য আসা মানুষদের।