বনদফতরের মহিলা আধিকারিকের (Forest range officer) সঙ্গে কারা মন্ত্রী অখিল গিরির (Akhil Giri) অভব্য আচরণে ক্ষুব্ধ প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, অখিল গিরির এহেন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে মহিলা আধিকারিককে হুমকির ঘটনায় অবিলম্বে অখিল গিরির ইস্তফা চায় দল। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও একবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার এক মহিলা রেঞ্জ অফিসারের সঙ্গে এহেন আচরণে রীতিমত অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার ক্যাবিনেট বৈঠক আছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর অসন্তোষের মুখে পড়তে পারেন কারামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, অখিল গিরির জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, এমনটাই মনে করছে বেশ কিছু দফতর। এবারের একুশের জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, দলের মহিলা কর্মীদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে। জিরো টলারেন্সের বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অন্যায় করলে আমি দলের কাউকে ছাড়ি না। গ্রেফতার করি। অন্যায় করবেন না। অন্যায় সহ্য করবেন না। আমি পরিষ্কার বলছি, মা-বোনেদের সম্মান দেবেন।” দলের সমস্ত নেতা-মন্ত্রীদের নিজেদের আচরণ সংযত রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, কারামন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই ফোন করেছেন বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত বক্সী। নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করার কথা জানান তিনি। কিন্তু রবিবার সকালে কারামন্ত্রী নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, “আমি একটু রাগান্বীত হয়ে যে কথা বলে ফেলেছি, যে আচরণ করে ফেলেছি, সেটা ঠিক নয়। সেই কথাটা বলা অনুচিত। এক জন আধিকারিককে যে কথা বলেছি, সেটা নিশ্চিত ভাবে আমার বলা ঠিক হয়নি।” সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন বনমন্ত্রী।