প্রতিবেদন : বাংলাদেশের নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তনীরা। এই নাম পরিবর্তন কি আদৌ যুক্তিসঙ্গত? আয়োজক কমিটির কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে এ নিয়ে নিজেদের গভীর অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, যে সিনেট সভায় নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেখানে আদৌ শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই নেওয়া হয়েছে এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন-বৈধ অভিবাসীদেরও জেলে পাঠানোর হুমকি ট্রাম্পের
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জাহরা নাজিফা দ্বিধাহীন ভাষায় জানিয়েছেন, এবছর মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা নামে পালিত হওয়ার সিদ্ধান্ত আমরা সমর্থন করছি না। তাঁর মন্তব্য, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে মঙ্গল অংশটির কী সম্পর্ক? যা বলা হচ্ছে তা অত্যন্ত হাস্যকর। শিক্ষার্থী জাহিদ জামিলের অভিযোগ, চারুকলার ডিন বলেছিলেন, তাঁরা চেষ্টা করছেন, যাতে নাম অপরিবর্তিত থাকে। কিন্তু পরে অদ্ভুত অজুহাত দেখিয়ে পরিবর্তন করা হল নাম। কোনও যৌক্তিকতাই দেখাতে পারেননি তিনি।
শুধু নাম পরিবর্তনই নয়, এবারের শোভাযাত্রা আয়োজনের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের না দেওয়া নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ। পড়ুয়াদের ক্ষোভের কারণ, ১৯৮৯ সাল থেকেই শোভাযাত্রা হয়ে আসছে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে। কিন্তু এবারে অসংলগ্ন যুক্তি দেখিয়ে পড়ুয়াদের কাছ থেকে সেই দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, শোভাযাত্রাকে ঘিরে যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে তা মোটেই যথেষ্ট নয়। দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুযোগে বড় ধরনের গন্ডগোলের আশঙ্কা করছেন পড়ুয়ারা।