বয়কট করলেন ক্ষুব্ধ ক্রীড়ামন্ত্রী

শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএল ফাইনাল খেলল মোহনবাগান। আর সেই ফাইনাল বয়কট করলেন ক্ষুব্ধ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

Must read

প্রতিবেদন : শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএল ফাইনাল খেলল মোহনবাগান। আর সেই ফাইনাল বয়কট করলেন ক্ষুব্ধ ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এদিন মোহনবাগানের সামনে ছিল দ্বিমুকুট জয়ের হাতছানি। হাইভোল্টেজ ফাইনাল ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনার পারদ চড়েছে শহরে। অথচ রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে শনিবার, ম্যাচের দিন দুপুর পর্যন্ত আমন্ত্রণ জানানো হয়নি আইএসএলের আয়োজক এফএসডিএল-এর পক্ষ থেকে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিবাদ করেন মোহনবাগান ক্লাবের সহসভাপতি কুণাল ঘোষ। তাঁর ক্ষোভ, প্রতিবাদের পরেই ক্রীড়ামন্ত্রীকে
ই-মেইল করে যুবভারতীতে উপস্থিত থাকার জন্য সরকারিভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু ক্ষুব্ধ ও অপমানিত ক্রীড়ামন্ত্রী এরপর আর মাঠে যেতে রাজি হননি। ফলে রাজ্যের ক্রীড়াপ্রেমী ক্রীড়ামন্ত্রীর অনুপস্থিতিতেই হল আইএসএল ফাইনাল।

আরও পড়ুন-শচীনের প্রশ্নে নিয়ম বদলাচ্ছে আইসিসি

অহেতুক এই বিতর্ক এবং বিলম্বিত আমন্ত্রণের নেপথ্যে এআইএফএফ-এর বিজেপি সভাপতি কল্যাণ চৌবের ভূমিকা দেখছেন কুণাল। মোহনবাগানের ভুলটাও ধরিয়ে দিয়েছেন ক্লাবের সহসভাপতি। আইএসএল ফাইনালের কয়েক ঘণ্টা আগে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন কুণাল। মোহনবাগান ক্লাবের সহসভাপতি সেখানে লেখেন, ‘‘যুবভারতীতে আজ ফুটবলের মহাযজ্ঞ। এফএসডিএল রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ জানায়নি। এটা রাজনৈতিক কারণে, এআইএফএফ-এর বিজেপি সভাপতি কল্যাণ চৌবের অঙ্গুলিহেলনে। বাংলার বুকে ফাইনাল, কেন ক্রীড়ামন্ত্রীকে বলা হবে না?’’
সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল আরও লেখেন, ‘‘আর একটি আক্ষেপ, খেলবে ভারতসেরা মোহনবাগান। তাদের তরফেও ক্রীড়ামন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ করা হয়নি। ফলে তিনি মাঠে যাচ্ছেন না। ক্লাবের সহসভাপতি হিসেবে এই খবর পেয়ে খারাপ লেগেছে, মন্ত্রীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছি। ঘরোয়া ফোন আর আনুষ্ঠানিক সসম্মান আমন্ত্রণ এক নয় বুঝি। মন্ত্রীর পদমর্যাদায় তো নয়ই। তাঁর সিদ্ধান্ত বদল হচ্ছে না। সচিবকে জানাচ্ছি। এই আনুষ্ঠানিক সৌজন্যটা ক্লাবের দেখানো উচিত ছিল। যাঁরা আমন্ত্রণ বা টিকিটের বিষয়টি দেখছিলেন, একটা ফাঁক থেকে গিয়েছে।’’
কুণালের প্রতিবাদের পরেই ক্রীড়ামন্ত্রীকে ই-মেইল পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয় এফএসডিএলের তরফে। তাদের ভুল ধরিয়ে দিয়ে চাপ দেওয়া হয় মোহনবাগানের তরফে। ক্লাবের সহসভাপতি নতুন পোস্টে লেখেন, ‘‘যুবভারতীতে থাকার জন্য আজ অবশেষে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ করল এফএসডিএল। আমার ট্যুইটের প্রতিবাদের পর। বিষয়টি মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তকেও তখনই জানাই। ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন সচিব। এফএসডিএলের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। যদিও এই বিলম্বিত আমন্ত্রণ অতীব অন্যায়ের। মোহনবাগান সচিব জানান, তাঁর ধারণা ছিল এফএসডিএল আগেই ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করেছে। মাননীয় মন্ত্রীকে মোহনবাগান আবার অনুরোধ করছে যুবভারতীতে যাওয়ার জন্য।’’

আরও পড়ুন-হাজার হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে এখন কুমিরের কান্না সিপিএম-বিজেপির

যুবভারতীতে বড় ম্যাচে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী, প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ডুরান্ড কাপের উদ্বোধনে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রীড়ামন্ত্রীও। ম্যাচ আয়োজনের জন্য যুবভারতী ভাড়া নিতে হলে ক্রীড়ামন্ত্রীর দফতরের ছাড়পত্র নিতে হয়। এরপরেও এই ভুল কীভাবে করে এফএসডিএল, উঠছে প্রশ্ন! মাস দেড়েক আগেই যুবভারতীতে আইএসএল লিগ-শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। সেদিনও পুরস্কার অনুষ্ঠানে ব্রাত্য ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। আইএসএল ফাইনালেও তাঁকে ব্রাত্য রেখে অন্যায় করছিল এফএসডিএল। শেষমেশ মোহনবাগান সহসভাপতির প্রতিবাদে ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি অসম্মানিত বোধ করায় মাঠে যাননি।

Latest article