সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে গৈরিকীকরণ করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপালের দ্বারা নিযুক্ত উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতির প্রচার মঞ্চে পরিণত করা হচ্ছে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা তা প্রমাণ করে দিল। এদিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে একটি সেমিনার ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে। এখানেই বিজিপির দার্জিলিঙ কেন্দ্রের লোকসভার সম্ভাব্য প্রার্থী হর্ষবর্ধন শ্রীঙলাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মোদি সরকারের গুণগান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সি ভি রবীন্দ্রন। ভরা সভাকক্ষে সমস্ত ছাত্রছাত্রীর সামনে নিজেকে মোদির খাস লোক হিসেবেই তুলে ধরেন তিনি। যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদও এই বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি
আরও পড়ুন-নারীর সম্পত্তির অধিকার ও উত্তরাধিকার আইন
তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম রাজ্যপাল যে উপাচাযর্দের নিয়োগ করছেন তাঁদের শিক্ষাগত কোনও যোগ্যতা কিছু নেই। রাজ্যপাল শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রকে গৈরিকীকরণ করার জন্য এই ভিসিদের নিয়োগ করেছিলেন। আজ সেই কথা সত্যি প্রমাণিত হল। এরা সবসময় চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজনীতির ক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহার করতে। শিক্ষিত সমাজকে ভুল পথে চালিত করছে। তাই এসব করছে। আমরা ধিক্কার জানাই। এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি করবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এর প্রতিবাদ করেছে। তবে পরপর দু’বার মানুষকে বোকা বানিয়ে বিজেপি নির্বাচনে জিতেছে। এবার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। তাই যাই করুক কোনও লাভ হবে না। উপাচার্যের এই কাজে ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারও। সেমিনারেই এদিন তাঁরা ক্ষোভ উগরে দেন। তীব্র প্রতিবাদ জানান তাঁরা। রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যরা যে বিজেপির ক্যাডার হয়ে কাজ করবে তা জানাই ছিল।