সংসদে তুঘলকি আচরণ। আবার টার্গেট বাংলা ও বাঙালি। এবার বাংলার মনীষী, বিপ্লবী এবং নবজাগরণের পথিকৃতদের আপত্তি জানাল সংসদ। অবাক বিষ্মিত তৃণমূল কংগ্রেস-সহ (TMC) বিরোধীরা। রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি কিংবা স্বামীজির ছবিতে যে সংসদের আপত্তি থাকতে পারে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি তৃণমূলের সাংসদরা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। ক্ষুব্ধ বিরোধীরাও।
শুক্রবার সকাল থেকে ভাষা সন্ত্রাস এবং বাঙালি বিদ্ধেষ নিয়ে সাংসদরা সংসদ চত্বরে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন এবং বুকে ছিল ব্যাজ। সেই ব্যাজ পরেই সাংসদরা অধিবেশনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তা সহ্য হয়নি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ঘনশ্যাম তিওয়ারির। তিনি বললেন রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি, স্বামীজির ব্যাজ পরে সংসদে ঢোকা যাবে না। ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাংলার সাংসদরা।
আরও পড়ুন-টাকার লোভ দেখিয়ে কাজ! আটকে রেখে অত্যাচার, কাটা হাত নিয়ে ১৫০ কিমি পথ পাড়ি কিশোরের
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ কোন ধরণের তুঘলকি সিদ্ধান্ত। যদের ছবি রয়েছে তারা তো কোনও রাজনৈতিক নেতা নন। তারা স্বাধীনতা সংগ্রামী, নবজাগরণের পথিক, পৃথিবী বিখ্যাত লেখর কিংবা সন্ন্যাসী। এদের ছবি দেওয়া ব্যাজে আপত্তি! এ কোন দেশে বাস করছি আমরা। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন জাতীয় সঙ্গীত। বঙ্কিমচন্দ্র জাতীয় গান। স্বামীজি, রামকৃষ্ণ পরমহংস দেশকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন। বিনয় বাদল দীনেশ, মাস্টারদা সূর্যসেন ব্রিটিশকে চোখ রাঙিয়ে লাখো লাখো দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আর নেতাজি দেশের প্রাণ পুরুষ। জয় হিন্দের জনক। সংসদ বলছে এই জয় হিন্দও নাকি ব্যাবহার করা যাবে না। এতো একসময় ব্রিটিশরা করত। ব্রিটিশদের আচরণ এখন বিজেপির কাজে। আসলে বাংলা, বাঙালিকে ভয় পেয়েছে বিজেপি। যতবার বাংলায় এসেছে ততবার বাংলার মানুষ বিজেপিকে বিরাশি সিক্কা দিয়ে দিল্লি পাঠিয়ে দিয়েছে। ২৬-এর ভোটেও এই শিক্ষা পাবে। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং আত্মসম্মানের লড়াই তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) চালিয়ে যাবে”।