প্রতিবেদন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথই আসল পথ। তিনি যত বছর মা চণ্ডীর পুজো-মা কালীর পুজো করছেন দলবদলু গদ্দার নেতার তখন জন্ম হয়নি। আর এখন তার কাছে সনাতনী-হিন্দু এসব শিখতে হবে? সোমবার সনাতনী ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের প্রতিবাদ সভা থেকে গর্জে উঠলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ উপস্থিত সকলেই। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিজেপির ভাষাসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লাগাতার ধরনা-আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সনাতনী সমাজের ধর্না-প্রতিবাদ ছিল। রাজীব বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনও আগ বাড়িয়ে বলতে হয়নি আমি হিন্দু। কারণ তিনি প্রকৃত হিন্দু। কিন্তু যারা ভণ্ড-যারা মেকি তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলছে আমি হিন্দুর বাচ্চা! এখানেই বোঝা যায় পার্থক্যটা।
আরও পড়ুন-আজব দাবি বঙ্গ বিজেপির! অনুদান নিলে পুজো প্যান্ডেলে মোদির ছবি বাধ্যতামূলক
এদিন সনাতনী ব্রাহ্মণ সমাজের একাধিক বক্তা বিজেপিকে ধুয়ে দেন। এই সভায় গিয়েছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, বাংলায় আমরা সব ধর্মের মানুষ মিলে-মিশে থাকি। মঞ্চে কীর্তন চলছিল। সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, কত মধুর ভাষা। অথচ এর অপমান করছে বিজেপি। আমাদের একজোট হয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ধরনামঞ্চে এসেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এক-একটা মন্ত্র উচ্চারণ করে বলেন, এগুলো শিখেছি মা-ঠাকুমার কাছে, বিজেপির কাছে নয়। ওরা এখন যে ধর্মের কথা বলছে-যে পুজোর কথা বলছে সেসব ছোটবেলায় মা-ঠাকুমারা শিখিয়েছেন। বিজেপির কাছে সনাতনী ধর্ম শিখতে হবে নাকি! সেইসঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত নন্দীগ্রাম ব্লক-১-এর তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গকে সঙ্গে নিয়ে বলেন, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূলের বিধায়ক জিতবে। তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতের মাটিতে বিজেপি এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে ছোটবেলা থেকে ঠাকুরদা-বাবার কাছ থেকে পুজো বা ধর্ম সম্পর্কে যে শিক্ষা পেয়েছি, জেনেছি এখন তার সঙ্গে কোনও মিল খুঁজে পাই না। এদিন বক্তব্য রাখেন মদন মিত্রও। ছিলেন দলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারও।