প্রতিবেদন : বার্ষিক আয় মাত্র ৩ টাকা! মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক কৃষকের আয়-শংসাপত্রে সরকারিভাবে লেখা, তাঁর বছরে আয় মাত্র তিন টাকা। প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য। তীব্র কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস বলল, ডবল ইঞ্জিনের রাজত্বে ভারতের দরিদ্রতম মানুষ। বেকায়দায় পড়ে মধ্যপ্রদেশ সরকার সাফাই দিল, ছাপার ভুলেই এই বিভ্রাট হয়েছে।
আরও পড়ুন-দাবা বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস দিব্যার
প্রশাসনের গাফিলতি আর অব্যবস্থার উদাহরণ সাতনার কোটি তহসিল এলাকার এই ঘটনা। কৃষক রামস্বরূপ লোধি যখন সরকারি কৃষি সহায়তার জন্য দরকারি কাগজপত্র জমা দেন, তখন তাঁকে আয় সংক্রান্ত এই শংসাপত্রটি দেওয়া হয়। সেখানে লেখা ছিল বার্ষিক আয় ৩ টাকা। অর্থাৎ মাসে মাত্র ২৫ পয়সা! সঙ্কটে পড়ে জেলা প্রশাসন একে ‘টাইপিং মিস্টেক’ বলে দায় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। বলা হয়েছে, প্রকৃত আয় ৩০,০০০। কিন্তু টাইপিংয়ে ভুল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, আয় সংক্রান্ত এত গুরুত্বপূর্ণ নথির উপর নির্ভর করে সরকারি ভাতা, ফসল বিমা ও ঋণের সুবিধা, সেখানে এত গুরুতর ভুল কেন? এই ঘটনাকে ঘিরে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিজেপি সরকারের কৃষক-নীতি নিয়ে ফের বিরোধীরা সরব হয়েছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা বলেন, মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা মরছেন ঋণের দায়ে, শস্যের দাম পাচ্ছেন না। আর প্রশাসন বলছে তাঁদের বার্ষিক আয় ৩ টাকা! নির্লজ্জ এই সরকার। কংগ্রেস ছাড়াও সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি এবং কৃষক সংগঠনগুলি এই ঘটনাকে‘কৃষক-নিগ্রহের প্রতীক’ বলে সমালোচনা করেছে।