প্রতিবেদন : যোগী-রাজ্যে এবার অশেষ দুর্গতি ছিল বিজেপির কপালে। বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত না হলে আরও বড়সড় লজ্জার মুখে পড়তে হত মোদি-শাহদের। উত্তরপ্রদেশ এবার মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে বিজেপির থেকে। ৮০ আসনের লোকসভায় মাত্র ৩৩ আসন জিতেছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ইন্ডিয়া জোট ৪৩টি আসনে জিতে বিজেপিকে মোক্ষম চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। কিন্তু মায়াবতী সহায় হয়ে না দাঁড়ালে আরও ১৪টি আসন কম পেত বিজেপি।
আরও পড়ুন-রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেন বিজেডির বিতর্কিত পান্ডিয়ান
মায়াবতীর বিএসপি এবার উত্তরপ্রদেশে ভোট কাটুয়া হিসাবে আসরে নেমে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। তা না হলে ৩৩ আসনেও জিততে পারত না বিজেপি। তাদের ১৯ আসন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হত। সেক্ষেত্রে বিজেপির মোট আসন সংখ্যা ২৪০ থেকে কমে দাঁড়াত ২২৬। সেক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদির তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে বসার স্বপ্ন ক্ষীণ হয়ে যেত। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি যে ৩৩ আসনে জিতেছে, তার মধ্যে ১৪টি আসনে কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টির জোট প্রার্থী হেরেছেন মায়াবতীর দলের প্রার্থীর কারণে। মায়াবতীর দল ভোট কাটার জন্যই ওই কেন্দ্রগুলিতে হেরেছে। অন্যথায় ১৪টি আসন হারাতে হত বিজেপিকে। বসপা প্রার্থী বিরোধী ভোটে ভাগ বসিয়ে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের পথ সুগম করে দিয়েছেন। আরও দুটি আসন ইন্ডিয়া জোট পেতে পারত। মায়াবতীর দল ভোটে ভাগ বসানোয় সেই দুটি আসন পেয়েছে এনডিএ-র শরিক রাষ্ট্রীয় লোকদল ও আপনা দল (সোনেলাল)। অর্থাৎ বিরোধী ভোটে মায়াবতীর বসপা ভাগ বসানোয় কংগ্রেস-সপা জোট ১৬ আসনে হেরেছে যোগীরাজ্যে।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গি সংক্রমণ একগুচ্ছ পদক্ষেপ হাওড়া পুরসভার
আমরোহা, আকবরপুর, আলিগড়, বাঁসগাও, ভাদোহি, বিজনোর, দেবরিয়া, ফারুখাবাদ, ফতেপুর সিক্রি, হরদোই, মেরঠ, মির্জাপুর, মিশরিখ, ফুলপুর, শাজাহানপুর ও উন্নাও হল সেই আসনগুলি যেখানে মায়াবতীই ত্রাতা হয়ে উঠেছেন বিজেপির। বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী যদি সংখ্যালঘু ভোটার অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিম এবং শক্তিশালী প্রার্থী না দিতেন, তাহলে ভোটের ফল অন্যরকম হতে পারত। নিজের নাক কেটে তিনি সপা-কংগ্রেস প্রার্থীর যাত্রা ভঙ্গ করতে চেয়েছিলেন। অন্তত ১৬টি ক্ষেত্রে তিনি সফল হয়েছে। তবে বসপার দলিত ভোট ব্যাঙ্কে কংগ্রেস ভাঙন ধরিয়েছে, তা মায়াবতীর কাছে অশনি-সঙ্কেত হয়ে উঠেছে।