প্রতিবেদন : এর আগে আসানসোলে তাঁর সভায় কম্বল বিতরণকে কেন্দ্র করে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু সেই মর্মান্তিক ঘটনা শোনার পরও হতভাগ্য মানুষদের পাশে দাঁড়ানো তো অনেক দূর, একবারও সেই পরিবারগুলোর খোঁজও নেননি বিজেপির গদ্দার নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল এবার গাইঘাটায়। চড়া রোদ ও ভ্যাপসা গরমের মধ্যে গাইঘাটায় শুভেন্দুর সভাস্থলেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হারাধন বিশ্বাস। বয়স ৭৫ বছর।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
গাইঘাটা থানার সুটিয়া বারাসত গ্রামে তাঁর বাড়ি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তিনি এদিন শুভেন্দুর সভায় গিয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু আসার আগেই সভাস্থলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু আয়োজকরা একবারও তাঁর দিকে তাকাননি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও উদ্যোগ নেয়নি কেউ। নিলে হয়তো এভাবে তাঁর দাদুকে হারাতে হত না। এমনই অভিযোগ করছেন, মৃতের নাতনি পাপিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, শুভেন্দুর সভার জন্যই আমার দাদু মারা গিয়েছেন। মানুষের জীবন আগে না মিটিং আগে? মিটিংয়ে এত লোক, কেউ একজন দাদুকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারল না? ওঁরা কি শুধু ভোটের জন্য রাজনীতি করেন? মানুষের জীবনের কোনও দাম নেই ওঁদের কাছে।
আরও পড়ুন-লর্ডসেও হারতে বসেছে ইংল্যান্ড
শনিবার গাইঘাটার পাঁচপোতায় ছিল শুভেন্দুর সভা। সেই সভায় গিয়েছিলেন বৃদ্ধ সুটিয়ার হারাধন বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় অনেকক্ষণ পর্যন্ত তিনি সভাস্থলেই পড়ে ছিলেন। অসুস্থ বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও বিজেপি কর্মী এগিয়ে আসেননি। অনেক পরে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে বনগাঁ হাসপাতালে ছুটে আসেন তাঁর মেয়ে ও নাতনি। হাসপাতালের মধ্যে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপি কর্মীদের এই অমানবিক আচরণের সমালোচনা করছেন সবাই। শুভেন্দু অধিকারীর তরফেও কেউ ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।