প্রতিবেদন : আবার ভূমিকম্প মায়ানমারে। কম্পন অনুভূত হয়েছে তাজাবেকিস্তান এবং ভারতেরও কিছু অংশে। ২৮ মার্চের প্রবল ভূমিকম্পের ভয়াবহ ক্ষত শুকানোর আগেই মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে রবিবার সকালে কেঁপে উঠল ভারতের প্রতিবেশী দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এদিন ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৫। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অবশ্য এখনও জানা যায়নি। ভূমিকম্পের তীব্রতায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। শুধু মায়ানমার নয়, ভূমিকম্প হয়েছে তাজাবেকিস্তান এবং ভারতেরও কিছু অংশে। ফলে মধ্য এশিয়া জুড়ে আতঙ্ক। রবিবাসরীয় সকালে এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যাক টু ব্যাক ৪ বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তিন দেশ। সকাল ৯টা ৫৪ মিনিট নাগাদ তাজিকিস্তানে জোড়া ভূমিকম্প হয়, রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের তীব্রতা ৬.১ মাত্রার। উৎস ভূপৃষ্ঠ থেকে দশ কিলোমিটার গভীরে। দ্বিতীয় ভূমিকম্প ১০টা ৩৬ মিনিট নাগাদ। কেঁপে উঠল ভারত, হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে সকাল ৯টা নাগাদ ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৪। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়েন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন-কর্পোরেট ডোনেশনে শীর্ষে বিজেপি নেপথ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয়? এক বছরে গেরুয়া শিবিরে ২০৬৪ কোটি টাকা
মায়ানমারের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নিয়ে অবশ্য দ্বিমত রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। মায়ানমারের আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, রবিবারের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মান্ডালয় থেকে ৯৭ কিমি দক্ষিণে উন্ডউইন টাউনশিপ এলাকায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিমি গভীরে। মার্কিন ভূতত্ত্ববিদরা অবশ্য বলছেন, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ৭.৭ কিমি গভীরে। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূকম্পন অনুভূত হয় সকাল ৭টা ৫৪ মিনিট নাগাদ। কম্পনমাত্রা রিখটার স্কেলে ৫.৬।
২৮ মার্চ বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মায়ানমারে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৩০০০ মানুষ, জখম হয়েছিলেন ৫০০০ বাসিন্দা। নিখোঁজের সংখ্যা অন্তত ৩০০। কেঁপে উঠেছিল পাশের থাইল্যান্ডের মাটিও। ভেঙে পড়েছিল ৩০ তলা বিল্ডিং। মৃত্যু হয় বহু মানুষের।