বিজেপি-নীতীশের বিহারে ফের বিষমদ ট্র্যাজেডি, মৃত্যু ৭

পরে জানা যায়, প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অবশ্য মরিয়া পুলিশ। বিষয়টিকে হাল্কা করে দেখাচ্ছে তারা।

Must read

প্রতিবেদন: মদ নিষিদ্ধ করার নামে যেন এক মস্ত প্রহসন চলছে বিজেপি-নীতীশের বিহারে। প্রশাসন একেই সামাল দিতে পারছে না মদের চোরাচালান, তার উপরে একের পর এক ঘটনায় বিষমদে মৃত্যুর ঘনঘটা রাজ্যে। এবারে বিষমদ ট্র্যাজেডি চম্পারণ জেলায়। এখনওপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ৭ জনের। মৃত্যুর শুরু অবশ্য গত বৃহস্পতিবারই। তবে পাটনায় প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে খবর এসে পৌঁছায় রবিবার। খবর আসে একজনের মৃত্যুর। পরে জানা যায়, প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অবশ্য মরিয়া পুলিশ। বিষয়টিকে হাল্কা করে দেখাচ্ছে তারা।

আরও পড়ুন-মহাপ্রভু দর্শনের নতুন নিয়ম ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই

পুলিশের দাবি, ওই ৭ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে ট্রাক্টরের ধাক্কায়। আর একজন মারা গিয়েছেন অসুস্থতার কারণে। বাকি ৫ জনের মৃত্যুর কারণ নাকি আদৌ স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। পুলিশের মুখে এমন আজব কথা শুনে যার পর নেই বিস্মিত স্থানীয় মানুষ। কারণ, তাঁরা নিশ্চিত, ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বিষমদ পান করেই। কিন্তু সবকিছু জেনেবুঝেও কেন পুলিশ বিষয়টাকে ঢাকা দিতে মরিয়া, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না। সবচেয়ে আশ্চররযজনক বিষয়, তদন্ত না করেই তাড়াহুড়ো করে দাহ করে ফেলা হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে একের পর এক এলাকা। অভিযোগ ওঠে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। প্রশ্ন ওঠে, মদের চোরাচালানে কি মদত কিংবা প্রশ্রয় রয়েছে শাসকপক্ষের একাংশের?
চাপে পড়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নীতীশ প্রশাসন। তদন্তকারীরা অবশ্য প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, ৫ জনের মৃত্যুর কারণ বিষমদ হলেও বাকি দু’জনের মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ। কিন্তু দেহগুলি দাহ হয়ে যাওয়ায় আসল কারণ খুঁজতে খুবই সঙ্কটে তদন্তকারীরা। লক্ষণীয়, গত অক্টোবরে বিহারেরই সিউয়ান এবং সারণ জেলায় বিষমদে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৬৫ জনের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, সামালই যদি না দিতে পারবেন, তা হলে ২০১৬তে বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করেছিলেন কেন নীতীশ কুমার?

Latest article