প্রতিবেদন : রাজ্যে প্রায় ৩২ লক্ষ মানুষ বার্ধক্য ভাতা এবং বিধবা ভাতা পাচ্ছেন। যার জন্য গত আর্থিক বছরে সরকারের কোষাগার থেকে ব্যয় করা মোট খরচের পরিমাণ প্রায় ১৭ কোটি টাকা। সোমবার প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রের একই ধরনের প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার কেন আলাদা বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। এ ধরনের প্রকল্প চালু রাখার আদৌ কোনও যৌক্তিকতা রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন-মহকুমা আদালত ক্যানিংয়ে
এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘এ রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প চলে আসছে। তবে ২০১১ সালের পর থেকে এই ভাতা প্রাপকের সংখ্যা অনেকগুণ বেড়েছে। কোন রাজ্য কী করছে জানি না। তবে রাজ্যের এটা করার অধিকার রয়েছে।” বিধানসভায় মন্ত্রী জানান, বার্ধক্য ভাতার জন্য রাজ্য সরকারের ১৬ কোটি ৮৯ লক্ষ ৭২৭ খরচ হয়। যা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। ২০১৯-২০র তুলনায় ২০-২১ এ এই খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ২০.২২ শতাংশ। অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে শশী পাঁজা জানান, ৪০ শতাংশের বেশি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, এমন যে কেউ মানবিক পেনশনের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুন-কলকাতার ব্রাজিল পাড়ায় আপ্লুত রাষ্ট্রদূত
বিজেপিকে কটাক্ষ করে শশী পাঁজা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সামাজিক প্রকল্পের সুযোগ দেয় বিপিএল তালিকা দেখে আর রাজ্য সরকার সবার আগে দেখে মানুষের প্রয়োজনীয়তা। প্রশ্নোত্তর পর্বে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে শশী পাঁজা সভায় জানান, উত্তরবঙ্গের চা-বাগানগুলির বাড়তি জমিকে পর্যটন প্রসারের কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ওই সব হাসপাতাল গড়ে তোলা যায় কি না, তাও ভেবে দেখা হচ্ছে। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, চা-বাগানগুলিতে কোনও আংশিক সময়ের কর্মী কাজ করেন না, সবাই পূর্ণ সময়ের কর্মী।