প্রতিবেদন : এই বাজেট জন-বিরোধী, গরিব-বিরোধী। মধ্যবিত্ত, কৃষক, শ্রমিক, নারী, যুব- কোনও শ্রেণির জন্যই কোনও আশার আলো নেই। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বমুখী দাম, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, দরিদ্রদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া এই বাজেট কোনও আশা জাগায় না।
*যুব, গরিব, নারী এবং কিষাণদের নিয়ে ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছুই নেই বাজেটে।
*জনকল্যাণমূলক কাজে বরাদ্দ সংকোচন এবং সামাজিক প্রকল্পগুলিতে তহবিল বরাদ্দ হ্রাস শহর এবং গ্রামে দুর্দশাকে আরও বাড়াবে৷ জনকল্যাণমূলক ব্যবস্থায় কাটছাঁট করে আয়করে ছাড় ‘পিটারের টাকা ছিনতাই করে পলকে দেওয়া’র মতো ঘটনা।
*দেশে বেকারত্ব উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। বেকারত্ব মোকাবিলা এবং নতুন চাকরি সৃষ্টির জন্য বাজেটে কোনও দিশা নেই। কম বেতনপ্রাপ্ত আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সর্বশিক্ষা কেন্দ্রের প্যারা-টিচার এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা এবারও উপেক্ষিত ও অবহেলিত।
আরও পড়ুন-কুম্ভে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের পুণ্যার্থীদের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু নবান্নের
*ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা উপর উচ্চ সুদের হার জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের তহবিল গ্রাস করছ।
*এবারের বাজেটেও ফের কেন্দ্রের বৈষম্যের শিকার বাংলা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ার পর এখন ৩ বছর ধরে রাজ্যে বরাদ্দে বঞ্চনা অব্যাহত। বাংলার মানুষ ফের ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত। গ্রামীণ আবাস যোজনা, গ্রামীণ সড়ক যোজনা এবং সংখ্যালঘু স্কলারশিপ, স্কিম, ইটিসি-ওবিসি স্কলারশিপের মতো অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রকল্প বরাদ্দ হয়নি।
*এমনকী, বিহারের জন্য কোশি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, কান্দি মাস্টার প্ল্যান, গঙ্গা-পদ্মা ক্ষয়রোধী পরিকল্পনা এবং উত্তরবঙ্গ বন্যা ও ভূমিধস নিয়ন্ত্রণে বাজেটে কোনও দিশা নেই।