প্রতিবেদন : যাদবপুর-কাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। র্যাগিং রুখতে তৈরি হল অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড। কড়া নজরদারি চালাতে এবং জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে একটি হোয়াটআপ গ্রুপও তৈরি করা হল। বৃহস্পতিবার প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেলে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন হাসপাতালের এমএসভিপি বা উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারী। হস্টেলে গিয়ে তিনি পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। পূর্ণ সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেন।
আরও পড়ুন-মন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্য পূর্ত দফতরের বরাদ্দ ৭ কোটি টাকার বেশি
র্যাগিংয়ের মতো অমানবিক ঘটনা রুখতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে মত বিনিময় করলেন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকছেন খোদ প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি ও ফ্যাকাল্টি অফ স্টুডেন্ট ডিনও। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের সাহস জোগাতে একাধিক নির্দেশও দিয়েছেন এমএসভিপি। যাদবপুরের হস্টেলে প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। এই ঘটনার জেরে বুধবার সন্ধেয় বৈঠকে বসেন মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্যরা। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শুধু রোগী নয়, যাঁরা রোগীর চিকিৎসা করবেন, তাঁদের দিকেও নজর রাখতে হবে। তাই হস্টেলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই কারণে এবার থেকে হস্টেলে মাঝেমধ্যে সারপ্রাইজ ভিজিট করবেন এমএসভিপি।
আরও পড়ুন-নাম নয়, নেহরু বেঁচে থাকবেন তাঁর কাজের জন্য, নামবদল-নীতি নিয়ে পাল্টা রাহুল
এই সিদ্ধান্তের পরই গিরিবাবু লেনের প্রথম বর্ষের হস্টেল থেকে কাজ শুরু করলেন তিনি। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি একাধিক পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছেন এমএসভিপি। প্রথম বর্ষের ১৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সেখানে রয়েছেন প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি ও ফ্যাকাল্টি অফ স্টুডেন্ট ডিনকে। এর পাশাপাশি সিনিয়রদের নিয়ে তৈরি হয়েছে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড। অনেক সময়ই দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারাও র্যাগিংয়ের শিকার হন। তাই শুধু প্রথম বর্ষের পাশাপাশি সিনিয়রদের হস্টেল-সহ মোট ১৭টি হস্টেল পরিদর্শন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।