প্রতিবেদন: হামাস দমনের নামে গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলি সেনার নির্বিচার তাণ্ডব এবং অসংখ্য শিশু-সহ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় নানা স্তরের বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ইহুদিদের কনসার্ট; সর্বত্রই গাজার বিপন্নদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বিক্ষোভ ও হামলা হচ্ছে। এবার কলোরাডোয় ইজরায়েলের সমর্থনে একটি জমায়েতে হামলার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় অন্তত ছ’জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। আহতদের প্রত্যেকের শরীরে গভীর পোড়া ক্ষত রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এটি লোন উলফ হামলা। ইতিমধ্যেই হামলাকারীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ইতিমধ্যে তারা ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ বলে উল্লেখ করেছে।
আরও পড়ুন-বিজেপির মধ্যপ্রদেশে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ফাঁস, ধৃত ১২
মিশর থেকে আমেরিকায় গিয়ে ইজরায়েলিদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে দু’হাতে দু’ধরনের বোমা নিয়ে হামলা করা ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ্যে। নাম মহম্মদ সাবরি সোলিমান, তিনি মিশরের বাসিন্দা। ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষের মাঝে রবিবার বোল্ডার শহরে যেভাবে হামলা চালিয়েছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের অভিযুক্ত তাতে আমেরিকার মাটিতে ইহুদি বিদ্বেষের চরম নিদর্শন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এফবিআইয়ের তদন্তকারীরা ধৃতকে জেরা করেছেন।
জানা গিয়েছে, সোলিমান একহাতে মলোটভ ককটেল বোমা, আরেকহাতে আগুনবোমা ছুঁড়ে যেভাবে ইহুদিদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছিলেন তাতে দীর্ঘদিন ধরে তিনি যে তাঁর আক্রোশ জমিয়ে রেখেছিলেন তা স্পষ্ট হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিনি মিশর থেকে আমেরিকায় গেলেন কি শুধুমাত্র এই কারণের জন্য? সূত্র মারফত খবর ২০২২ সালের আগস্টে বি-২ ভিসা নিয়ে অভিযুক্ত মার্কিনমুলুকে প্রবেশ করেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও অবৈধভাবে সে দেশেই থেকে যান বলে অভিযোগ। চরম ইহুদি বিদ্বেষ থেকে এই হামলা বলে মনে করা হলেও এফবিআইয়ের ফিল্ড অফিসাররা গোটা ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হিংসা’ বলে মেনে নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন।