ব্যুরো রিপোর্ট: ডিভিসির ছাড়া জলে ক্ষতিগ্রস্ত আটটি জেলা। শনিবার আরামবাগের প্লাবিত এলাকায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। একহাঁটু জলে দাঁড়িয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। মানুষের দুর্ভোগ দেখে কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভও উগড়ে দেন। ভিডিসির এই কাজকে ক্রাইম আখ্যা দিয়ে ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণও দাবি করেন। তাঁরই সুরে তোপ দাগলেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে আরামবাগের বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। অভিযোগ করেন, ‘সপ্তাহখানেক আগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এসে দেখে যায়, কতটা জল ছাড়লে ভাসবে এলাকা।’ গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরেও কীভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হল, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। প্রশাসনের তৎপরতায় আরামবাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে দুর্গতদের নিয়ে যাওয়া হয় ত্রাণশিবিরে। মুখ্যমন্ত্রীর নিদের্শে মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়ক অসীমা পাত্র, জেলা তৃণমূল সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী, দিলীপ যাদব দাঁড়িয়ে থেকে উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন-আপাতদৃষ্টিতে মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপুজোর কোনও যোগই নেই
বর্ধমানের পরিস্থিতি নিয়ে সার্কিট হাউসে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বৈঠক করেন। পরে ১০ হাজার মানুষকে ত্রাণ পাঠানো হয়। বরজোড়ায় দুর্গত এলাকায় পৌঁছে যান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদয়নারায়ণপুরের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত জলমগ্ন। জলস্তর আরও বেড়েছে। প্রশাসনের তরফে প্রায় ১০০টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। উদয়ানায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা ও আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল দিনরাত এক করে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে চলেছেন। মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘আগাম কিছু না জানিয়ে আচমকা ডিভিসি প্রচুর জল ছেড়ে দেওয়ায় উদয়নারায়ণপুর ও আমতার বিস্তীর্ণ এলাকা জলভাসি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’