সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : রক্তজল করে জমানো টাকায় হয়েছিল বাড়ি। কিন্তু কে জানত, গঙ্গার ধারে বাড়ি তৈরি করাই কাল হবে একদিন। যত দিন যাচ্ছে, গঙ্গা কাটতে শুরু করেছে সামশেরগঞ্জের মহেশতলা এলাকাকে। সারি সারি বাড়ি রোজ ধসে যাচ্ছে নদীগর্ভে। ধানঘরা, কামালপুরের মতো ফের ধ্বংসলীলা শুরু হয়েছে সামশেরগঞ্জের মহেশতলা, প্রতাপগঞ্জ এলাকায়। চোখের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাচ্ছে সারি সারি একতলা-দোতলা পাকা বাড়ি। রাতের পর রাত আতঙ্কে কাটাচ্ছেন মহেশতলার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন-নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ, বিলে আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি প্রাক্তন কমিশনারদের
রবিবার এই এলাকায় সকালেই পরপর ৫টি বাড়ি ধসে গেল গঙ্গাভাঙনের ফলে। এলাকার বাসিন্দা চন্দনা দাস জানান, ‘১৫ দিন আগেই শৌচাগার ধসে যায়। তারপর থেকেই আতঙ্ক বাড়ছিল। আজ সকালেই ধসে গেল আমাদের বাড়ি।’ এলাকার বেশিরভাগ মানুষই বিড়িশ্রমিক। অনেকেই আবার পরিযায়ী শ্রমিক। এই অবস্থায় কাজে না গেলে টাকা আসবে না ঘরে, সেখানে অসহায়ভাবে রাস্তায় দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন এঁরা। কারোর স্বামী কাজে গিয়েছেন ভিনরাজ্যে। ছেলেমেয়ে নিয়ে বউ রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
আরও পড়ুন-ঘুষ নিতে গিয়ে সিবিআইয়ের জালে সরকারি কর্তা-সহ ৭
এলাকার আরেক বাসিন্দা বদরুল শেখ জানান, ‘প্রশাসন থেকে পেয়েছি ত্রিপল। সময় করে ঘরের জিনিসপত্র বার করে এনেছিলাম নইলে রাতে ঘুমের মধ্যেই বউ-বাচ্চা নিয়ে নদীতে ভেসে যেতাম।’ অসহায়ভাবে জীবন কাটাচ্ছেন সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ৫ মে সামশেরগঞ্জের ভাঙন মোকাবিলায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই টাকা দিয়েই হবে ভাঙনরোধের কাজ। তবে যাদের এই বিষয়ে দায়িত্ব থাকার কথা সেই কেন্দ্র এখন ব্যস্ত দায় এড়িয়ে রাজনৈতিক তরজায়।