সংবাদদাতা, গঙ্গাসাগর : কেন্দ্রের উদাসীনতায় কোপের মুখে কপিল মুনির আশ্রম। উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে বাঁধ নির্মাণ নিয়ে এবারের বাজেটে কোনওরকম সুর শোনা যায়নি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর গলায়। বরং যাবতীয় সমস্যার দিকে না তাকিয়ে বাংলাকে ব্রাত্য করেই রেখেছে কেন্দ্র। এদিকে একমাসের মধ্যে দু’বার প্লাবিত হল গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দির সংলগ্ন এলাকা। পরিস্থিতি উন্নয়নে কপিল মুনি মেলা চত্বর পর্যবেক্ষণ করলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। বৃহস্পতিবার মেলা মাঠ সহ এক নম্বর থেকে ৫ নম্বর ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। দিনের পর দিন কপিল মুনির মন্দির সংলগ্ন এলাকা চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। এতেই আতঙ্কিত এলকাবাসী। বিদ্যুতের খুঁটি থেকে শুরু করে স্থানীয় দোকানপাট, বড় গাছ, অস্থায়ী জলের ট্যাঙ্ক সবই চলে গেছে নদীগর্ভে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে সেচ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ভাঙন কবলিত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে নীল নকশা তৈরি করা হয়েছে। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলে জানান আধিকারিকরা। খুব শীঘ্র বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রকৃতির নিয়মে দিনের পর দিন কপিল মুনি মন্দির চত্বর এলাকা ভাঙতে ভাঙতে নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। কীভাবে মন্দিরকে বাঁচানো যায় সেই নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। সেচ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কপিল মুনি মন্দিরকে নিয়ে কোনও কিছুই করছে না। এবারে বাজেটেও সেভাবে কিছুই বলেনি। বিজেপির সরকার ধর্ম নিয়েই শুধু পড়ে আছে, রাজ্য সরকার যতটুকু পারছে কপিল মুনির মন্দিরের উন্নয়ন করছে। কেন্দ্র সরকার গঙ্গাসাগর নিয়েও উদাসীন।