সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট মৃত শিবমের বাবা-মা। তাঁরা অভিযোগ জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তৎপর হয়েছিল। এমনকী পুলিশ কুকুর নিয়ে এসেও খুঁজেছে। শিশুসুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়কে একথা জানিয়েছেন ওঁরা। সুদেষ্ণা বুধবার রাতেই জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন-প্রথা মেনে শুরু ১৬ দিনের পুজো
তারপর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শিশুসুরক্ষা আধিকারিক নিরুপম সিংহ ও সিদ্দিকা পারভিনকে নিয়ে শিবমদের বাড়ি যান। ওর বাবা ও মায়ের কাছে ঘটনাটি শোনেন এবং সর্বতোভাবে সাহায্যের আশ্বাস দেন। পরে সাংবাদিকদের সুদেষ্ণা জানান, পরিবারের তরফে বাবা-মা দু’জনেই পুলিশ প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। শিবমের বাবা পরিষ্কার জানিয়েছেন, থানায় রিপোর্ট করে বাড়ি পৌঁছনোর আগেই বাড়িতে পুলিশ হাজির হয়। সর্বত্র গ্রামবাসীদের নিয়ে খুঁজেছে। পুলিশ কুকুর নিয়েও খুঁজেছে। ঘটনাটি অভাবনীয়। আমরা পরিবারের পাশে আছি। জানি, শিশুটি ফিরে আসবে না। তবে অপরাধীর শাস্তি হলে বাবা-মা প্রবোধ পাবেন।
আরও পড়ুন-গ্রামবাসীদের বাধার মুখে সুকান্ত, ৫ জনের অনুমতি
জানা গিয়েছে, রুবি বিবির পাঁচটি পরিবার। দুটি শম্ভু ঠাকুরের পাড়ায় থাকে। তিনটি অন্য পাড়ায়। তারা সবাই পলাতক। পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, আগের দিন রাতেই শিশুসুরক্ষা কমিশন আমার সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ সকালে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। দুই মূল অপরাধী ধরা পড়েছে। আপাতত আর কোনও গ্রেফতারের সম্ভাবনা নেই।